পোশাকে একুশের চেতনা অমর একুশে বাঙালি জাতির এক অনন্য অর্জন। বাঙালির এই অর্জন লাভ করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ১৯৯৯ সাল থেকে অমর একুশে সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। সেই থেকে ভাষা আন্দোলন ও ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে। বহুমাত্রিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপিত হয়। এসব আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি একুশের গৌরবগাথা ফুটে ওঠে পোশাকেও। ঢাকায় বিভিন্ন পোশাকের দোকান ও বুটিকগুলো মহান একুশকে সামনে রেখে তৈরি করছে নতুন নতুন নকশার রকমারি পোশাক। এসব পোশাকে ব্যবহৃত রং, কাপড়, নকশা ভাষা আন্দোলনের মহিমায় উজ্জ্বল। পোশাকে যুক্ত হয়েছে একুশের গান, কবিতা, স্লোগান ও বাংলা ভাষায় রচিত বিভিন্ন পঙ্ক্তি। ফুটে উঠেছে বাঙালির নিজস্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এ ছাড়া শহীদ মিনার, মানচিত্র, পতাকাসহ একুশের বিভিন্ন চিত্রের নান্দনিক প্রকাশ ঘটেছে এবারের পোশাকে। রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট ও বসুন্ধরা সিটির ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেল, দেশি ফ্যাশন হাউসগুলো একুশের চেতনায় উজ্জীবিত নানা ভাবনা তুলে ধরেছে পোশাকে। লাল, সাদা, কালো রং দিয়ে তৈরি হয়েছে শাড়ি, পাঞ্জাবি, কামিজ, টি-শার্ট এবং বিভিন্ন শিশুদের পোশাক। কিছু পোশাকের নকশা করা হয়েছে বাংলা ভাষার বিভিন্ন বর্ণ দিয়ে। এ ছাড়া লেখা হয়েছে একুশের অমর গান—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’। বাংলাদেশের স্বনামধন্য মডেল এজেন্সী “ফ্রেশ লূক মডেল এজেন্সী” প্রতিবারের ন্যায় এবারও “একুশে ফেব্রুয়ারি” উপলক্ষে ঝাকজমকভাবে ফটোশুটের আয়োজন করে। এবারের এ ফটোশ্যুটে মডেল হিসেবে থাকেন: দুর্জয়, রাজু, পি.কে., রবিন, আরেফিন মোস্তফা, অলিভিয়া, রেইন, সানজিদা ও মুনিরা।মেকওভার এ থাকেন: বাপ্পি, কোরিওগ্রাফি করেন: আরিফ খান ও ফটোগ্রাফিতে থাকেন: খালেদ খান।