ইলিশ রক্ষায় জাটকা নিধন প্রতিরোধ কর্মসূচির আওতায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
২০০৬ সাল থেকে মার্চের এক তারিখ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ নদী সীমানা ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। ইলিশের পোনা জাটকা নিধন প্রতিরোধকল্পে ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার নদীতে মার্চ-এপ্রিল এ দুই মাস ধরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মৎস্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চাঁদপুরের মতলব উত্তরর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত নদী সীমানা হচ্ছে ৬০ কিলোমিটার।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৪৫ হাজার ৯৭৮ জন জেলে। এসব জেলেদের মধ্যে এবছর ৪১ হাজার ১৮৯ জন ইলিশ জেলেকে নিষিদ্ধ সময়ে ৪০ কেজি করে ৪ মাস চাল দেয়া হবে। এছাড়া নিষিদ্ধ সময়ে ১ হাজার জেলেকে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে রিক্সা, ভ্যান, হাঁস-মুরগী ও সেলাই মেশিন প্রদান করা হবে।
নাম প্রকাশের বেশ কয়েক জন জেলে ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও জেলেরা চাল পাচ্ছে ২৫-৩০ কেজি। বাকি চালগুলো চেয়ারম্যান ও সদস্যরা রেখে দেন।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, জেলেরা যেন নির্দিষ্ট সময়ে পদ্মা-মেঘনায় মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অভিযানকালে যদি কেউ নদীতে মাছ ধরে বা জাল ফেলে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ডিসি মো. আব্দুস সবুর মণ্ডল বলেছেন, ইলিশ রফতানি করে যাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যায়, সেজন্যে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জাটকা মাছ নিধন করা থেকে জেলেদের বিরত থাকতে হবে। জাটকা মাছ বড় হওয়া সুযোগ পেলে ইলিশের প্রাচুর্য বৃদ্ধি পাবে। কোন অবস্থাতেই এই দু’মাস নদীতে জাল ফেলা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি প্রদান করা হবে বলে হুশিয়ার করেছেন তিনি।