বিকেএসপির তিন নম্বর গ্রাউন্ডে শাইনপুকুর টস জিতে ব্যাটিং করতে নামে। আফিফ হোসেনের ৬৮ ও শুভাগত হোমের ১১৬ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৮৮ রান সংগ্রহ করে শাইনপুকুর। ব্রাদার্সের পক্ষে সোহরাওয়ার্দী শুভ নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে মিজানুর রহমানের সঙ্গে মাইশুকুর ৫৪ রান করেন। এরপর জুনাইদ সিদ্দিকিকে নিয়ে ৬১ ও দেবব্রত দাসের সঙ্গে মিলে করেন ৬৯ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিতটা পেয়ে যায় ব্রাদার্স। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট আর ৫ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় গোপীবাগের দলটি। মাইশুকুর ১০৭ বলে ৩ ছয় ও ৬ চারে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাদার্সের অবস্থান এখন সপ্তম। অন্যদিকে ব্রাসার্দের সমান পয়েন্ট নিয়েও টেবিলের চতুর্থ অবস্থানে শাইনপুকুর।
অন্যদিকে অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তারা ৪২ রানের জয় পায়।
টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭২ রান সংগ্রহ করে প্রাইম ব্যাংক। দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ৫৪ ও মেহরাব হোসেন ৫২ রান করেন। দেলওয়ার হোসেন করেন অপরাজিত ৪১ রান। অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন সাইফুল ইসলাম ও রেজা আলি দার।
জবাব দিতে নেমে শুরুতে রুবেল হোসেনের তোপের মুখে পড়ে অগ্রণী ব্যাংক। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই রুবেল তুলে নেন দুই উইকেট। এরপর সৌম্য সরকার ফিরে গেলে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে অগ্রণী ব্যাংক। তবে রেজা আলির ৪২, ধীমান ঘোষের ৭৩ ও জাহিদ জাভেদের অপরাজিত ৪৮ রানে খেলায় ফিরেছিল দলটি। তবে প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা নিয়মিত উইকেট তুলে নিলে ২৩০ রানে গুটিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক।
ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংসের পর দেলওয়ার নেন ৩ উইকেট। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
এই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে প্রাইম ব্যাংক। অন্যদিকে প্রাইমের মতোই সমান খেলায় সমান সংখ্যক জয়, পরাজয় আর পয়েন্ট নিয়ে একাদশ অবস্থানে অগ্রণী ব্যাংক।
এদিকে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাঘর ১৫ রানের জয় পায় কলাবাগানের বিরুদ্ধে। পয়েন্ট টেবিলের নিচে থাকা কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে তারা নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে।
এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করে খেলাঘর ঠিক ৫০ ওভার খেলে ২৩৮ রানে অলআউট হয়। দলটির ভারতীয় ব্যাটসম্যান অশোক মেনারিয়া সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন। এছাড়া অমিত মজুমদার করেন ৪২ রান। কলাবাগানের পক্ষে রাহাতুল নেন ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে মাত্র ১০.৫ ওভারে ৩৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে কলাবাগান। তবে অষ্টম উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি গড়ে তুলেন তাইবুর রহমান ও আবুল হাসান। যদিও শেষ পর্যন্ত দলকে জয় উপহার দিতে পারেননি তারা। তাইবুর ৮১ ও আবুল হাসান ৭৬ রান করেন। দশ নম্বরে নেমে সঞ্জিত সাহা অপরাজিত ৩১ রান করেন। অবশেষে ৯ উইকেট ২২৩ রানে থামে কলাবাগানের ইনিংস। ম্যাচ সেরা হন খেলাঘরের অশোক মানারিয়া।
এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার অষ্টম স্থানে খেলাঘর। আর সমান খেলায় ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে অবস্থান কলাবাগানের।