বুধবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বগুড়া মালিক-শ্রমিক নেতাদের এক যৌথ সভায় আলোচনার পর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা বিচারিক হাকিম আলিমুল রাজীব, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি আবদুল লতিফ মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী, জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুরুল আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, কার্যকরী কমিটির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
জেলা মোটর মালিক গ্রুপের যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, সভায় আজ বুধবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকার সঙ্গে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা থেকে আমাদের পাঁচটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস চলবে। আর অন্য কোনো ঝামেলা নেই।
জেলা মোটর মালিক সূত্রে জানা যায়, নওগাঁর সঙ্গে ‘শাহ ফতেহ আলী’ বাস নিয়ে কয়েক দিন আগে দ্বন্দ্ব শুরু। এর সঙ্গে যুক্ত হয় সাপাহার-বগুড়ার রুটে লিজা ও গীতা বাস চলাচলের বিষয়ের জটিলতা। পরে রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় দুই পক্ষের সমঝোতা হয়। সভায় শাহ ফতেহ আলী বাস আগের মতো করেই চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কিন্তু ঢাকা মহাখালী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ঢাকা বগুড়া পথে শাহ ফতেহ আলীর কোনো এসি বাস চলতে দেয়া হবে না। কিন্তু বগুড়া মালিক সমিতি চায় সব বাসই আগের মতো চলুক। এর জেরে ঢাকার শাহ ফতেহ আলীর সব কাউন্টার বন্ধ করে দেন তারা। পরে গতকাল মঙ্গলবার রাতে বগুড়া মালিক সমিতি ‘বিভাগীয় সিদ্ধান্ত’ অনুযায়ী ঢাকায় চলাচলকারী সব বাস বন্ধ রাখা হয়