তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিকে কেন্দ্র করে আরেক দফা গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের মতে, দেশে উৎপাদিত গ্যাস স্থানীয় বাজারে এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে, এলএনজি আমদানির পর, তা প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতে হবে।
পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগে নেয়ার পর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনও (বিইআরসি) কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
শুক্রবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, এলএনজি এলে বিদ্যুৎসহ শিল্প ও বাণিজ্যিক সংযোগে মূল্য সমন্বয় করতে হবে। অবশ্য আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রেও দাম বাড়ানো হবে কি না-তা উল্লেখ করেননি তিনি। কবে নাগাদ গ্যাসের দাম বাড়তে পারে প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণশুনানি শেষে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিইআরসি ।
গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে নির্বাচনের বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় আরো এক দফা বাড়বে। তবে তা যেন জনজীবনে বড় কোনো চাপ তৈরি না করে, সরকার সেদিকে নজর দেবে বলেও আশ্বস্ত করেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে যেসব ডুয়েল ফুয়েল (দুই ধরনের জ্বালানিতে চালানো যায়) বিদ্যুতকেন্দ্র আছে; সেগুলো গ্যাসের অভাবে তেল দিয়ে চালানো হচ্ছে। এলএনজি এলে সেখানে তেলের বদলে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো যাবে।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসের দাম গড়ে ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ঐ বছরের মার্চ ও জুলাই থেকে দুই ধাপে তা বাস্তবায়িত হয়। বর্তমানে পেট্রোবাংলার প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের গড় মূল্য হার সাত টাকা ৩৫ পয়সা।
গত বছর দাম বাড়ানোর পর বিদ্যুতে খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাস ৩ টাকা ১৬ পয়সা, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ৯ টাকা ৬২৩ পয়সা, সার কারখানায় ২ টাকা ৭১ পয়সা, শিল্পে ৭ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিকে ১৭ টাকা ৪০ পয়সায় দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আর আবাসিক সংযোগে এক চুলার জন্য মাসে ৯০০ টাকা এবং দুই চুলার জন্য ৯৫০ টাকা করে দিতে হচ্ছে।
শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রভাব কতটুকু পড়বে, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বলেও জানান জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।