ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমান জঙ্গিবাদে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব। জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার বিকেলে র্যাব-৯ সদরদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে র্যাবের সিনিয়র এসএপি ও সহকারী পরিচালক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার বিকেলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ফয়জুলকে গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে। রাতে তাকে উদ্ধার করে সিলেটের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এছাড়া তার চাচা ও মামাকে জিজ্ঞাসাবাদেও জন্য আটক করা হয়েছে।শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে পেছন থেকে অধ্যাপক জাফর ইকবালের মাথায় ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুল। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।আর অধ্যাপক জাফর ইকবালকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারপর রাতেই হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় আনা হয়। এরপর থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।এদিকে জাফর ইকবালের মাথা, পিঠ ও হাতে ছুরিকাঘাত করা হলেও সেগুলো ‘হেভি ইনজুরি’ নয়, মূলত চামড়ার ওপরই বেশিরভাগ আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসা বোর্ড।পাঁচ সদস্যের চিকিৎসা বোর্ডের প্রধান মেজর মুন্সী মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, উনার (জাফর ইকবাল) মাথায় ছোট ছোট চারটা আঘাত, পিঠের ওপরের দিকে একটা আঘাত এবং বাঁ হাতে একটি আঘাত রয়েছে। যেগুলো ভালোমতো চিকিৎসা প্রদান, ড্রেসিং ও অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সজ্ঞান, সচেতন ও আশঙ্কামুক্ত আছেন।