সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম সার্বিকভাবে বেড়েছে। গম, চাল, ভুট্টার মতো মোটা দানার শস্যের দাম বেড়েছে প্রায় আড়াই শতাংশ।তবে এই মাসে উল্টোপথে হেঁটেছে ভোজ্য তেল ও চিনি। স্বস্তিতে থাকা পোল্ট্রি বাজার দিয়ে যাচ্ছে আরও স্বস্তি।
জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা- এফএওর সবশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।গেলো মাসে বিশ্ব খাদ্য মূল্যের গড় সূচক অবস্থান করছে ১৭০ দশমিক ৮ পয়েন্ট। এফএও-এর হিসেবে জানুয়ারির চেয়ে খাদ্যের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ। তবে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ কম রয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, বিশ্ববাজারে এ সময়ে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, খাদ্যশস্যের দাম বাড়ার কারণে সার্বিক খাদ্য মূল্যসূচক বেড়েছে। তবে ভোজ্য তেল ও চিনির দাম কমলেও মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।বিশ্বব্যাপী ৫ ধরনের পণ্যের দাম নিয়ে জরিপ চালায় এএফও। সংস্থাটি সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলছে, আলোচ্য মাসে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ডিসেম্বরের তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ (১৯১ দশমিক ১ পয়েন্ট) বেড়েছে, যা জানুয়ারির তুলনায় ১১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে এফএও বলছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গম ও আর্জেন্টিনায় ভুট্টা উৎপাদন লক্ষ্যপূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে টানা দুই মাসের মতো ফেব্রুয়ারিতে বাড়লো প্রাইস ইনডেক্স।এফএও চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক গম উৎপাদনের পূর্বাভাস কমিয়েছে।
পাশাপাশি শস্যটির মজুত রেকর্ড বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থা।তবে বিশ্বব্যাপী মাংসের উৎপাদন গেলো কয়েকমাসে ভালো থাকায় বাজার স্থিতিশীল আছে। বিশেষ করে স্বস্তি দিয়েছে পোল্ট্রি।বাংলাদেশের বাজারেও এ সময় দেখা যায়, সবজির বাজার চড়া থাকলেও পোল্ট্রির বাজারে ছিল স্বস্তি।