ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের নেপালে নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থাটি। তবে পাসপোর্টের অভাবে ছেলে ডা. পিয়াস রায়ের লাশ আনতে নেপাল যেতে পারেননি বাবা সুখেন্দু রায়। এমনকি আত্মীয় স্বজন কাউকেও পাঠাতে পারেননি তিনি।
বুধবার (১৪ মার্চ) বারিধারার ইউএস বাংলা কার্যালয়ে গিয়ে নেপালে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছিলেন সুখেন্দু রায়।
ভ্রমণের নেশা থেকেই নেপাল গিয়েছিলেন ডা. পিয়াস রায়। ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়তেন তিনি।
সুখেন্দু রায় বলেন, সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি স্বজনদের নেপাল নিয়ে যাওয়া হবে। তাই আমার এক আত্মীয়কে এখানে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তার পাসপোর্ট না থাকায় তাকে নেয়া হয়নি। আমার একটি পাসপোর্ট ছিল, তারও মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা কি করতে পারি তা জানতে এখানে এসেছি। নেপালে যেতে হলে কি করতে হবে তা জানতে এসেছি।
ছেলের লাশ
কান্না জড়িত কণ্ঠে সুখেন্দু রায় আরও বলেন, অনেক আশা নিয়ে ওকে (পিয়াস) মেডিকেলে ভর্তি করি। এখন সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেলো। গেলো ৫ মার্চ তার ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর ঘুরতে নেপালের উদ্দেশ্য রওনা হয়।