নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ বাংলাদেশির দ্বিতীয় জানাজা সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা পড়ান সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. মাহমুদুল হক। এর আগে নেপালে তাদের প্রথম জানাজা অুনষ্ঠিত হয়।জানাজা শেষে মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। মরদেহ হস্তান্তরের সময় নিহতদের নাম বলা হয়। স্টেডিয়ামে এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে মরদেহগুলো হস্তান্তর শেষ হয়। এর আগে ২৩ জনের মরদেহের কফিন ১৯টি মরদেহবাহী ফ্রিজিং গাড়িতে করে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিকেল ৫টায় আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়।সোমবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে মরদেহগুলো নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি কার্গো বিমান। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর ভিভিআইপি টার্মিনালে অবতরণ করে মরদেহবাহী ৬১-২৬৪০ নম্বর বিমানটি।
মরদেহগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার সঙ্গে ছিলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল। জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্পিকার শ্রদ্ধা জানান। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নূর ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে আরটিভি অনলাইনকে জানান, জানাজা শেষ হওয়ার পর স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হবে।যাদের মরদেহ আনা হয়েছে তারা হলেন- আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার, শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন, এফএইচ প্রিয়ক, উম্মে সালমা, বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান, পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।এখনও তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত হয়নি।
তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রায় ও আলিমুজ্জামান। ডিএনএ পরীক্ষার পর তাদের মরদেহ শনাক্ত করা হবে।গত ১২ মার্চ (সোমবার) ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়।বিমানটিতে মোট ৪ ক্রুসহ ৭১ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২ জন, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপ ও একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, নারী ২৮ ও দুজন শিশু ছিল। এরমধ্যে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১জন মারা যান।