রাশিয়া বিশ্বকাপ মাথায় রেখেই একেবারে নতুন রূপে তৈরি করা হয় সামারা অ্যারেনা। স্টেডিয়ামটি নির্মাণে সময় লেগেছে তিন বছর। স্বাগতিক রাশিয়ার একটি ম্যাচ ছাড়াও, সামারা অ্যারেনায় বিশ্বকাপের মোট ৬টি ম্যাচ হবে। রাউন্ড অফ সিক্সটিনসহ থাকছে কোয়ার্টার ফাইনালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে সামারা অ্যারেনার খবর।
ভলগা ও সামারা নদীর পাশে অবস্থিত রাশিয়ার ৬ষ্ঠ বৃহত্তম শহর সামারা। ২০০৭ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সম্মেলন এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্ব ব্যাপি এই শহরটি বেশ পরিচিতি লাভ করে। মূলত রাজনেতিক, অর্থনেতিক, শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্র রাশানদের শহর সামারা। ইউরোপের পর্যটকদের কাছে সামারা শহরটি বেশ জনপ্রিয়। এই ব্যাপারটি মাথায় রেখে-ই ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকায় রাখে দেশটির সরকার।
বিশ্বকাপের ভেন্যু হিসেবে সামারা ২০১০ সালে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হবার পর ২০১২ সালে ফিফা স্টেডিয়াম তৈরির অনুমোদন দেয়। সেই ধারায় ২০১৪ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদেমির পুতিন সামারা অ্যারেনা স্টেডিমের ভিত্তিপ্রস্ততের উদ্বোধন করেন। নির্ধারিত সময়ে অথাৎ ২০১৭ সালে সম্পন্ন হয় সামারা অ্যারেনার কাজ।
এই স্টেডিয়ামকে স্থানীয়রা কসমো অ্যারেনা বলে থাকে। তিন বছরে নির্মানে স্টেডিয়ামটির ব্যয় হয়েছে ৩২০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। দূর থেকে দেখতে বেশ নান্দনিক এই স্টেডিয়ামটির আসন সংখ্যা ৪৫ হাজার। গ্লাস দিয়ে ছাতার মতো করে নকশা করা সামারা স্টেডিয়াম। রাশিয়া বিশ্বকাপের মোট ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সামারা স্টেডিয়ামে।
১৭ জুন প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার মুখোমুখি হবে সার্বিয়া। এর সাত দিন পর স্বাগতিক রাশিয়া সামারায় আতিথ্য দেবে উরুগুয়েকে। আছে সুপার সিক্সটিনের একটি ম্যাচ। এছাড়াও ৭ জুলাই কোয়ার্টার ফাইনালের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে সামারা অ্যারেনায়।
মাস দুইয়েক বাকি মাত্র বিশ্বকাপ ফুটবল উন্মাদনার। আর রাশান আয়োজকরাও চাতক পাখির মতো চেয়ে আছে। ফুটবল মহরণের মধ্যে দিয়ে রাশিয়ার সংস্কৃতি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে।