গত কয়েকমাস ধরেই মিডিয়া পাড়ায় গুঞ্জন রটে, টেস্টে ফিরছেন মাশরাফি বা সাদা পোশাকে ফেরার জন্য তৈরি হচ্ছেন দেশসেরা এই পেসার! গুঞ্জন উঠারই কথা। সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ রাউন্ডে খেলে সন্দেহটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এই টাইগার।তবে আপাতত টেস্ট নিয়ে ভাবছেন না বিষয়টি সাফ জানিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক বলেছেন, লম্বা ফরম্যাট নয় তার মূল পরিকল্পনা ওয়ানডে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ নিয়েই।মাশরাফি বলেন, টেস্টে ফিরতে হলে জাতীয় লীগে বা চারদিনের ম্যাচ খেলতে হবে অনেক।
খেলার আগে মন্তব্য করা খুব কঠিন। আমি মনে করি নির্বাচকদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে আমি এই ফরম্যাটে খেলতে পারি।তারপর যদি তারা মনে করে, হ্যাঁ, আমি টেস্টে ফেরার জন্য উপযুক্ত তখনই লঙ্গার ভার্সনের কথা চিন্তা করা যাবে। কিন্তু এখন আমি মনে করি আমি অন্তত এক বছর প্রথম শ্রেণীর খেলতে হবে যাতে আমি প্রমাণ করতে পারি।একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাতকারে উঠে আসে মাশরাফি বিন মুর্তজার ফিটনেসের কথা।প্রসঙ্গ ৩৪ বছর বয়সী তারকার বর্তমান শারীরিক অবস্থা।
প্রশ্ন আসে টেস্টে ফেরা সম্ভব? উত্তরে ডান-হাতি এই পেসার বলেন, আমি বললাম সবকিছুই সম্ভব, শুধু একটু সাহস দরকার, আমার একটু ধৈর্য ধরতে হবে, আমি যদি আবারও (টেস্ট) খেলি, তবে প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলতে হবে প্রচুর। তাছাড়া সামনে বিশ্বকাপ। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট এবং আমাদের জন্য একটি দল হিসেবে একজন খেলোয়াড় হিসাবে। দেখা যাক আপাতত বিশ্বকাপই হচ্ছে আমার প্রধান লক্ষ্য।
মাশরাফির নেতৃত্বেই ২০০৬ সালের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ দল। শুধু তাই নয় মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে। তার আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে টাইগার বাহিনী। একের পর এক সিরিজ জয়ে হয়ে যান দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম অধিনায়ক। সহজ ভাষায় টাইগার দলপতি বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বকাপ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি নির্বাচকরা আগামী আসরের জন্য আমাকে যোগ্য মনে করেন তবে অবশ্যই আমি নিজের সেরাটা দেবার চেষ্টা করবো।