মে দিবসের শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে সহিংসতা হয়েছে ফ্রান্স ও তুরস্কে।এ সময় দাঙ্গা পরিস্থিতির মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও স্প্রে ব্যবহার করে। ফ্রান্সে এ বিক্ষোভ থেকে পুলিশ আটক করেছে ২০০ জনকে। অন্যদিকে তুরস্কে আটক করা হয়েছে ৮৪ জনকে। বিক্ষোভ হয়েছে ফিলিপাইনেও। সেখানে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের বাড়ির পাশেই তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে।অনলাইন বিবিসি বলেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন সরকারি কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের মর্যাদা পুনর্গঠনের যে নীতি নিয়েছেন তার বিরোধিতা করে ১লা মে মহান মে দিবসে রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করে বামপন্থি সংগঠন ব্লাক বক্স। এক পর্যায়ে সহিংসতা সৃষ্টি হয়। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তখনই একশনে যায় পুলিশ। ‘প্যারিস জেগে ওঠো’, ‘পুলিশকে সবাই ঘৃণা করে’ স্লোগান দিতে থাকে তারা। এ সময় ব্লাক বক্সের সদস্যরা সবাই ছিল কালো জ্যাকেট পরা। এ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে বিভিন্ন রকম তথ্য এসেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি লিখেছে, বিক্ষোভটি ছিল শান্তিপূর্ণ। এতে অংশ নিয়েছিলেন ২০ থেকে ৫৫ হাজার বিক্ষোভকারী। হঠাৎ করেই এ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয়। এ জন্য হয়তো বিক্ষোভকারীরা প্রস্তুত ছিলেন আগে থেকেই। তারা এ সময় গ্যাসনিরোধক মুখোশ ও মাথায় হুডি পরা ছিলেন। এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। এ সব মানুষই এক পর্যায়ে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায়। লুটপাত করে। অন্যদিকে তুরস্কেও মে দিবসের মিছিল সহিংসতায় রূপ নেয়। ইস্তাম্বুলে সহিংসতায় ৮৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের বাড়ির পাশে প্রেসিডেন্টের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে আন্দোলনকারীরা।