আশরাফুল আলম,ভৈরব- কুলিয়ারচর প্রতিনিধি ||
কিশোরগঞ্জের ভৈরব শহরের ভৈরবপুর আলিম সরকারে বাড়ির সাংবাদিক জাকির হোসেন ও সাবিনা ইয়াছমিনের দম্পতির একমাত্র কন্যা ও রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য় বর্ষে ছাত্রী শিফা ইস্তেগার জিনিয়া। তিন ভাই বোনের মধ্যে জিনিয়া প্রথম।
বিভিন্ন সময় প্রতিযোগীতায় সেরা স্থান করে নিয়েছেন জিনিয়া। ছোটবেলা থেকে গানের প্রতি মনযোক ছিলো তার। বিভিন্ন ওস্তাদের কাছে গানে হাতেখড়ি নজরুল সংগীত,দেশাত্ববোধক, লোকগীতি, বাউল গান ও আধুনিক গান করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
তিনি ২০০৬, ২০০৭ সালে জাতীয় শিশু পুরুস্কার সহ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ১৮টি পুরুস্কার ও ৫টি সনদপত্র সহ সম্মননা গ্রহণ করেন।
একটি সঙ্গীতপ্রিয় পরিবারেই জন্ম শিফা ইস্তেগার জিনিয়ার তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের ভৈরবপুর গ্রামের আঃ খালেক মিয়ার বাড়িতে। বাবা সাংবাদিক জাকির হোসেন এবং মা সাবিনা ইয়াছমিন দুজনেই গানের মানুষ।
বিশেষ করে মা সাবিনা ইয়াছমিন গলায় সব সময়ই গানের সুর বাজতে থাকতো। তিনি প্রধানত নজরুলগীতি ও আধুনিক গানে পারদর্শী ছিলেন।
এই গানপ্রিয় মায়ের কাছেই সঙ্গীত জীবনের সূচনা ঘটে জিনিয়া
মাত্র ৬ বছর বয়সে হারমোনিয়াম ধরে মায়ের কাছে গানে হাতেখড়ি নেন। ধীরে ধীরে শিখে ফেলেন গানের বিভিন্ন ধাপ।
৬-৭ বছর মায়ের কাছে গান শেখার পর ভর্তি হন ভৈরবে অন্যতম একাডেমী শিল্পকলা পরিষদের অধ্যক্ষ আবদুল বাসেদ ও অধ্যাপিকা সাজেদা বাসেদে অনুপ্রেরণায় নজরুলগীতি এবং বাউল গানের ওপর দক্ষতা অর্জন করেন তিনি।
জিনিয়া বলেন, আমি মঞ্চে গান গাইতে পারি এটাই আমার বড় পাওয়া। আর আমার বাবা-মায়ের স্বপ্নও এটা। আমি একদিন অনেক বড় শিল্পী হবো এটাই আমার আশা। সারাজীবন ভালো গান গাওয়ার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবো।