জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। গেল কয়েক বছর কোনো টিভি ধারাবাহিকে নেই তিনি। তবে বিশেষ দিবসের নাটক-টেলিছবিতে তাকে দেখা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে তিনি ঈদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আসছে ঈদের জন্য এরইমধ্যে কয়েকটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। নাটকগুলো হলো জাকারিয়া সৌখিনের ‘শহরে নতুন প্রেমিক’।এটিতে তিনি জুটি বেঁধেছেন আফরান নিশোর সঙ্গে। সাগর জাহানের মাহিন সিরিজের ‘মাহিনের লাল ডায়েরি’ ও ‘মাছের দেশের মানুষ’। এই দুটি নাটকে তাকে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে। এছাড়া গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘সুগন্ধি বোড়িং ও তুমি’ শিরোনামের একটি ঈদের নাটকে তিশা থাকছেন জনিপ্রয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর বিপরীতে। দীর্ঘ সাত বছর পর আবারও একসঙ্গে কাজ করলেন চঞ্চল চৌধুরী-তিশা ও নির্মাতা গোলাম সোহরাব দোদুল। সাত বছর পর একসঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে নির্মাতা দোদুল বলেন, আমি তুমি ও সত্যজিৎ নাটক থেকে আজকের সুগন্ধি বোর্ডিং ও তুমি। খুব সম্ভবত তিশা-চঞ্চল জুটির সবচেয়ে বেশি কাহিনীচিত্র নির্মাণ হয়েছে আমার পরিচালনায়। আবারো ত্রয়ী কাজ করলাম ৭ বছর পর। অনুভূতি আগের মতোই আছে। বৃষ্টিভেজা দিনে বার বার পুরোনো দিনের কথাগুলো মনে করলাম সবাই মিলে। সত্যি, মানুষ স্মৃতির ঘোরে থাকতে ভালোবাসে। তিশা বলেন, চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে অনেকদিন পর কাজ করলাম। টিভির জন্য ঈদের বিশেষ কাজ। খুব ভালো মানুষ, ভালো সহশিল্পী। উনার প্রথম কাজ তালপাতার সেপাই-তেও আমি ছিলাম। ছোট পর্দার বাইরে বড় পর্দায় এই অভিনেত্রীর এখন ব্যস্ততা। সম্প্রতি তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবির শুটিং শেষ করেছেন। এটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন সিয়াম আহমেদ। এর আগে তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবিটি। এদিকে তার হাতে আরো রয়েছে মোস্তফা সারওয়ার ফারুকীর ‘স্যাটারডে আফটারনুন’ বা ‘শনিবার বিকেল’ শিরোনামের ছবিটি। ওপার বাংলার অরিন্দম শীলের ‘বালিঘর’ শীর্ষক একটি ছবিতেও তিশাকে দেখা যাবে। কলকাতার প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচাযের্র ‘ঢেউ আসে ঢেউ যায়’ উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হবে বলে জানান অরিন্দম। পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ছবিটিতে যুক্ত হতে পেরে তিশা বেশ উচ্ছ্বসিত বলে জানান।