আগস্টে বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর হুট করেই বাতিল করেছে আয়োজক ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আর্থিকভাবে লাভবান না হওয়ার শঙ্কাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এর বদলে বিসিবি শিথিলযোগ্য অনেক প্রস্তাব দিলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইতিবাচক সাড়া মেলেনি কোনোকিছুতেই।আর দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের এমন কাণ্ডে অন্যদের মতো হতাশ মুশফিকুর রহিমও।
অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য টাইগাররা কতটা উন্মুখ হয়ে ছিলেন সেটা স্পষ্ট এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের কথায়। মুশফিক বলেন-‘এটা তো আসলে বোর্ডের ব্যাপার, কেন বাদ হলো এটা আসলে আমি বলতে পারি না। তবে সত্যি বলতে, আমরা মুখিয়ে ছিলাম।’
অস্ট্রেলিয়ায় এখনও কোনো সিরিজ খেলেননি মুশফিক। তাই এই সফর নিয়ে হয়ত ছিল তার অন্যরকম রোমাঞ্চ। তিনি বলেন-‘তারা এখানে এসেছিল, আমাদেরও ইচ্ছে ছিল সেখানে গিয়ে খেলি। অস্ট্রেলিয়ায় কোনো সিরিজ আমার খেলা হয়নি। আমার কাছে অন্য রকম অনুভূতি ছিল যে খেলা হলে খুব ভালো হবে। হলো না, কী আর করা। আশা করি ভবিষ্যতে হবে।’
গত বছরই দুইটি টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফর করেছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। ২০১৫ সালে সিরিজটি হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তা ইস্যু দেখিয়ে দুই বছর পিছিয়ে ২০১৭ তে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইটি টেস্ট খেলে অস্ট্রেলিয়া। ওই সিরিজ ১-১ সমতায় ‘ড্র’ হয়েছিল। এফটিপি অনুযায়ী এই বছরই অস্ট্রেলিয়া সফর করার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের।
এই সিরিজে দুইটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। বিসিবিকে পাঠানো এক মেইল বার্তায় তারা জানায়, এই সিরিজের জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে না দলটির অফিশিয়াল ব্রডকাস্টার। সিরিজটি হলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভবনা হওয়ার কথা জানিয়েছিল সেসময়ের ব্রডকাস্ট পার্টনার চ্যানেল নাইন।
এবার জানিয়েছে ভিন্ন কথা। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ফুটবলের মৌসুম চলবে অস্ট্রেলিয়ার। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের চেয়ে ফুটবলেই বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ব্রডকাস্টার। ওই মৌসুমে এই সিরিজটি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হবে না তারা। যার কারণে সিরিজটি বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।