খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর, আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে দুই দশক ধরে বেদখলে থাকা দুটি খাল অবশেষে নিজেরাই মুক্ত করল এলাকাবাসী। গতকাল সকালে আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় ও মাগুরাঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে সহস্রাধিক মানুষ ১২১টি বাঁধ কেটে দুটি খাল মুক্ত করে।
জানা যায়, আটলিয়া ও মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের নোনাডোরা ও বিষের খাল দুটিতে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছিলেন প্রভাবশালীরা। ১২১টি বেড়িবাঁধ ও নেটপাটার বাঁধ দিয়েছিলেন তারা। প্রায় আট কিলোমিটার দীর্ঘ খাল দুটিতে বাঁধ দেয়ায় বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে সৃষ্টি হতো জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে মিলত না সেচের পানি।
খাল দুটি থেকে প্রভাবশালীদের উচ্ছেদের জন্য এলাকার মানুষ বহুবার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি নিয়ে গেছে। কিন্তু দুই দশক ধরে কেউই তাতে কর্ণপাত করেনি। অবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের নির্দেশনায় দাবি পূরণ হলো।
খাল উদ্ধারে অংশ নেয়া কয়েকজন জানান, স্থানীয় আব্দুল জলিল, আলতাফ সরদার, সাত্তার গাজী, কামরুল ইসলাম, সিরাজ, সজলসহ ২০-২৫ জন দীর্ঘদিন ধরে খালগুলো দখলে রেখে ব্যবহার করছে। তারা ইচ্ছামতো বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল। এতে কৃষির অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেকদিন ধরেই খাল দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। অবশেষে মুক্ত হলো।
স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুটি খাল উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫ নম্বর আটলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় ও মাগুরাঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল হোসেন।