কুমিল্লায় বিশেষ আইনের মামলায় খালেদার জামিন শুনানি মুলতবি

বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে কুমিল্লায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল। আর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

পরে মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় করা দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণসহ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করবে। সে জন্য সময় চাওয়া হলে আদালত শুনানি মুলতবি করেন। কাল সোমবার আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়।

২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় ওই মামলাটি করা হয়। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায়ের পর আপিল করে জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট তাঁকে চার মাসের জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আবেদন করে। পরে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে ১৬ মে রায় দেন আপিল বিভাগ। সেদিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তিতে কিছুটা বাধা আছে। তিনি এই মুহূর্তে মুক্তি পাবেন না, কারণ নিম্ন আদালতে থাকা কয়েকটি মামলায় তাঁকে আসামি দেখানো হয়েছে। এরপর পৃথক পাঁচ মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *