চলমান সিন্ডিকেট ব্যবস্থায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ ব্যবস্থা বাতিল করেছে দেশটির সরকার।
মালয়েশিয়ান দৈনিক দ্য স্টারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার জনশক্তিমন্ত্রী এম কালুসেগারান দ্য স্টারকে জানান, বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী শ্রমিক নিয়োগের যে ব্যবস্থা বর্তমানে চলমান রয়েছে তা বাতিল করেছে তাদের সরকার।
কালুসেগারান বলেন, ‘পুরো ব্যবস্থাটি ছিল সম্পূর্ণ বিশৃঙ্খল। যার ফলে প্রবাসী শ্রমিকদের বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া উভয় জায়গায় কয়েকজন মধ্যস্বত্বভোগীকে অধিক অর্থ দিতে হতো।’
কালুসেগারান আরও জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সিন্ডিকেটে জড়িত ১০টি কোম্পানিকে বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার সরকার হয়তো নিয়োগ ব্যবস্থা বাতিল করেছে। কিন্তু এর ফলে দেশটিতে শ্রমিকদের পাঠানোর প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
মালয়েশিয়া সরকার এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। কিন্তু তাদের শ্রমিকের যে চাহিদা রয়েছে, সে অনুযায়ী বাংলাদেশি শ্রমিক না নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।’
নুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এই প্রক্রিয়া বাতিল করার সুযোগ নেই। সেই সঙ্গে নিয়োগ চুক্তি পুনরায় মূল্যায়নের অনুরোধ করারও কোনো সুযোগ নেই।’
মন্ত্রী জানান, একটি যৌথ দ্বিপাক্ষিক কার্যকরী কারিগরি কমিটি গঠন করে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) যুগ্ম মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য শ্রমিক নিয়োগের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক নিয়মেই বজায় থাকবে।’
বাতিল করা ১০ এজেন্সির একটির মালিক নোমান বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকার কোনো একক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং এমন উদ্যোগ বাতিল করার আগে তাদের বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
বর্তমান চুক্তিটি উভয় দেশের সংসদে অনুমোদন করা হয়েছে জানিয়ে নোমান আরও বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি যে, এখন শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যা কমে আসবে, কিন্তু তা একবারে বাতিল হবে না।’
নোমান জানান, মালয়েশিয়ার নতুন সরকার হয়তো নতুন উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বিষয়টির যৌথ কার্যকরী কারিগরি কমিটির অনুমোদন পেতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০১৬ সালে ১০টি এজেন্সির সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তা পুনরায় চালু হয়। তারা সরকারি প্রক্রিয়ায় (জিটুজি) এখন পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার শ্রমিক পাঠিয়েছে।