২ বছর পর মাকে ফিরে পেলেন ছেলে

নিখোঁজের ২২ মাস পর পরিবারের কাছে ফিরলেন মানসিক ভারসাম্যহীন ৬০ বছরের হেনা বেগম।

২২ জুন, শুক্রবার রাতে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর ছেলের কাছে হস্তান্তর করে হেনা বেগমকে। টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাহাড়পুর এলাকা থেকে ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট হারিয়ে যান হেনা বেগম।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে আর ফিরতে পারেননি হেনা বেগম। তার সন্তান ও পরিজনরা স্থানীয়ভাবে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাননি।

এদিকে ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার কৃষ্ণনগরে হেনা বেগমকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে আশ্রয় দেন স্থানীয় বাসিন্দা জনি হোসেন। পরে তাকে মানসিক রোগী বুঝতে পেরে স্থানীয়রা ঝিকরগাছা সমাজসেবা অফিসারের সহযোগিতায় ঝিকরগাছা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। থানা পুলিশ হেনা বেগমের সঠিক ঠিকানা জানার চেষ্টা করে সফল না হওয়ায় মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোরের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

রাইটস তাকে থানা থেকে জিডি (নং-৪৪৯/১১.১১.১৭) মূলে জিম্মায় গ্রহণ করে এবং স্থানীয় ঢাকা আহছানিয়া মিশনের শেল্টারহোমে রাখার ব্যবস্থা করে। এরপর রাইটস হেনাকে কাউন্সেলিং করার মাধ্যমে তার কাছ থেকে সঠিক ঠিকানা বের করে যোগাযোগ শুরু করে পরিবারের সঙ্গে।

খবর পেয়ে হেনা বেগমের ছেলে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা বাবুল হোসেন স্বজনদের নিয়ে রাইটস যশোর কার্যালয়ে যান। সব প্রমাণপত্র যাচাই শেষে তার মাকে শুক্রবার রাতে ছেলের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বাবুল হোসেন বলেন, ‘কত আনন্দ লাগছে তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। আমার মাথার ওপর ছায়া ছিল না। অনেকদিন পর সেই ছায়া পেলাম। আর কোনো শূন্যতা আমাকে কষ্ট দেবে না। আজ যেন সব খুঁজে পেলাম।’