কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূরের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
৩০ জুন, শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা মুহম্মদ রাশেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাশেদ খান জানান, সরকার কোটা প্রসঙ্গে প্রজ্ঞাপন জারির কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় শনিবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছিল। তবে সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটে।
রাশেদ খান আরও জানান, নূর এই হামলায় গুরুতর অাহত হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে প্রচলিত ব্যবস্থায় ৫৬ শতাংশ আসনে কোটায় নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। ১০ শতাংশ নারীদের জন্য, জেলাভিত্তিক ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১ শতাংশ।
দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে এ বছরের ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
যদিও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, পুরোপুরি বাতিল নয়, কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিলেও আড়াই মাসেও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। ফলে আবারও আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।