শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের দায়ে সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে অভিযান চালিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার জব্দ করা বিলাসবহুল ১১টি গাড়ি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি)।
আরটিভি অনলাইনে বুধবার এ খবর প্রকাশের পর সংস্থাটির মুখপাত্র বলেছেন, আমরা কোনও রুলস লঙ্ঘন করিনি।
‘গাড়িগুলো আগেই ব্রিটিশ অর্থায়নের প্রকল্পে ব্যবহৃত। সেগুলো এখন ডিএফআডির কাছে আছে। সিআরপির অনুমতিক্রমে গাড়িগুলো পার্কিং করা হয়েছে।’
ওই মুখপাত্র আজ বৃহস্পতিবার আরটিভি অনলাইনকে বলেন, গাড়িগুলো জব্দ করা হয়নি। সেগুলো এখনও সিআরপিতে
‘আমরা ডিএফআইডির নীতিমালা ও সরকারের আইন অনুযায়ী গাড়িগুলোর বিষয়ে নিষ্পত্তি করবো। যখনই গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন হয়, তখনই আমরা তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআরকে জানায়।’
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, বুধবার বিকেলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একটি দল অভিযান চালিয়ে গাড়িগুলো জব্দ করে। জব্দকৃত গাড়ির আনুমানিক মূল্য ৩০ কোটি টাকা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অভিযানে নেতৃত্ব দেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী মুহম্মদ জিয়া উদ্দিন।
যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এর নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ১৯টি গাড়ি দুই বছর আগে সিআরপির গ্যারেজে রাখা হয়। এর মধ্যে দুই দফায় ৮টি গাড়ি সরিয়ে নেয়া হলেও অবশিষ্ট গাড়িগুলো শুল্ক ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে রাখা হয় বলেও জানা যায়।