শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেছেন- ‘রাজধানীর অনেক ক্লাবে অবৈধভাবে মাদক আমদানি, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক এনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহে কাজ চলছে। প্রমাণের ভিত্তিতে সেসব ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন হয়। উত্তরা ক্লাবে অভিযান ও সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক গোয়েন্দার চলমান কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অবৈধভাবে মাদক আমদানি, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টমস ও মাদক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে সে যে হোক না কেন, আইনগত ব্যবস্থা নিতে শৈথিল্য দেখানো হবে না।
চোরাচালান ও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনকারীরাই ধরা খাচ্ছে। কিন্তু এদের অন্তরালে বড় বড় ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, চোরাচালান ও অবৈধ মাদকদ্রব্য বহনকারীর সংখ্যা বেশি। তাই ঘুরে ফিরে তাদেরই দেখা যাচ্ছে এবং তারাই বেশি ধরা পড়ছে। তবে এটা সত্যি নয় যে, অন্তরালে থাকা ব্যবসায়ীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। তাদেরও ধরা হচ্ছে। তবে তাদের সংখ্যা খুব কম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার, বন্ড সুবিধার অপব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
ড. সহিদুল ইসলাম বলেন, এবছর মার্চ মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অধীনে ৩০ কোটি টাকা মূল্যের ৫০ কেজি স্বর্ণ, ৩০ লাখ শলাকা সিগারেট (১৩ কোটি টাকা), ২৭৫ পিস মোবাইল (৩ কোটি টাকা), ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওষুধ, ১২টি গাড়ি (৩০ কোটি টাকা) এবং ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকার মুদ্রা আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর আগে অর্থ পাচারকারীদের বিষয়ে তদন্তসহ অনেক কাজ করতে পারতো না। এখন এই বিভাগের কাজের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় জনবল বৃদ্ধি পায়নি
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে উত্তরা ক্লাবের তালা ভেঙে ৫ কোটি টাকার ৩ হাজার বোতল বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।