বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) কতৃক প্রণীত এমআরপি (সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য) নীতি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
২২ জুলাই, রবিবার থেকে প্রতিটি প্রযুক্তি পণ্যে এমআরপি স্টিকার থাকা বাধ্যতামূলক করার মাধ্যমে এই নীতি কার্যকর করা হবে।
সম্প্রতি রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে ‘এমআরপি নীতিমাল বাস্তবায়ন, প্রক্রিয়া ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এমআরপি নীতি চূড়ান্তকরণের এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এমআরপি নীতিমালা অনুসারে, ২২ জুলাই থেকে কম্পিউটারসহ এ সংক্রান্ত সব যন্ত্রাংশে এমআরপি স্টিকার লাগানো বাধ্যতামূলক। প্রযুক্তি পণ্যের ওপর যে স্টিকার থাকবে, সেই স্টিকারের কম বা বেশি মূল্যে কম্পিউটার বা কম্পিউটার যন্ত্রাংশ বিক্রি করলে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান নিয়মভঙ্গ করলে বিবেচনামত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। নীতিমালা ভঙ্গের শাস্তি হিসেবে সতর্ককরণ নোটিশ প্রদান, সরবরাহকারী, আমদানিকারক ডিস্ট্রিবিউটর পেন্ডিং অর্ডার বাতিল, বিসিএস-এর সদস্যপদ প্রত্যাহারসহ সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার কথা এমআরপি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কম্পিউটার এবং কম্পিউটার সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ বা পণ্য ব্যবসায় উৎপাদনকারী, অনুমোদিত আমদানিকারক ও সরবরাহকারী, খুচরা বিক্রেতার স্বার্থ সংরক্ষণ, ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং ক্রেতা সাধারণের স্বার্থরক্ষা ও সন্তুষ্টির লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
নীতিমালাটিকে মোট পাঁচটি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে প্রারম্ভিক, দ্বিতীয় অধ্যায়ে বিষয়বস্তু, তৃতীয় অধ্যায়ে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, চতুর্থ অধ্যায়ে শাস্তি এবং পঞ্চম অধ্যায়ে বিবিধ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রযুক্তি পণ্য বিক্রির সবক্ষেত্রে একই মূল্য রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। কোনো পণ্যের যদি একাধিক আমদানিকারক থাকে, সেক্ষেত্রে সব আমদানিকারকরা বসে একই মূল্য নির্ধারণ করবেন। প্রতিটি আমদানিকারক থেকে পরিবেশকরা একই মূল্যে কম্পিউটার পণ্য কিনতে পারবেন।
এমআরপি নীতিমালা বাস্তবায়ন বা এই নীতিমালা মেনে চলার বিষয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে এবং এ বিষয়ে উভয়পক্ষ সমিতি বরাবর লিখিতভাবে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করলে সমিতি দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। তবে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
বিসিএসের এমআরপি নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর পরিপূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবে। কম্পিউটার ব্যবসায়ীরাও এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।