নওগাঁয় এক নারীর গর্ভে থাকা ছয়টি সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। মৌসুমী আক্তার নামের ওই নারী চার মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
২০ জুলাই, শুক্রবার রাতে নিজ বাড়িতে একটি এবং শনিবার (আজ) সকাল ১০ টায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে বাকি ৫ সন্তানের মৃত্যু হয়।
মৌসুমী আকতারের স্বামী শেখ রানা জানান, ২০১০ সালে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ভরোট্র কাঠেরডাঙ্গা গ্রামের ফজের আলীর মেয়ে মৌসুমীর সাথে তার বিয়ে হয়। দীর্ঘ ৮ বছর তাদের কোনো সন্তান হয়নি। গত এপ্রিল মাসে তার স্ত্রীর পেটে সন্তান আসে। স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে নওগাঁ একটি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে আলট্রাসোনোগ্রাম করার পর জানতে পারেন তার স্ত্রীর পেটে ৬টি সন্তান রয়েছে।
এরপর থেকে গাইনী ডাক্তারের অধীনে ছিলেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে মৌসুমী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যার দিকে নওগাঁ শহরের খাস নওগাঁয় মৌসুমীর স্বামী শেখ রানার বাসায় তার এক সন্তানের মৃত্যু হয়। এ সময় মৌসুমীর অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টার দিকে তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে আরো ৫টি সন্তানের মৃত্যু হয়। একসঙ্গে সব সন্তানের মৃত্যুতে পরিবারটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম জানান, গর্ভবতী হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবে বাচ্চা প্রসব হতে ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু এই প্রসুতির ক্ষেত্রে স্পন্টিনিউয়াস অ্যাবরশন (আপনা-আপনি গর্ভপাত) হয়েছে।
রওশন আরা খানম আরো জানান, বর্তমানে প্রসুতি মৌসুমী আক্তার সুস্থ আছেন। একের অধিক বাচ্চা গর্ভে থাকলে প্রসূতির বিশেষ যত্ন নিতে হয়। আর মৌসুমীর ক্ষেত্রে ৬টি বাচ্চা গর্ভে থাকায় অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিলেন তিনি।