ব্যক্তিস্বার্থের রাজনীতি জনগণকে কিছু দিতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনীতি করলে দেশের যে উন্নতি হয়, তা আজ প্রমাণিত। বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষের আর আস্থা নেই।
আজ শুক্রবার সকালে গণভবনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১০ বছর ধরে মামলা চলল আর সেই ব্যারিস্টার সাহেবরা, বড় বড়
আইনজীবী, তারা এটা প্রমাণ করতে পারল না যে তাদের নেত্রী নির্দোষ। আমি চাই, রাজনীতি যদি শুধু ব্যক্তিস্বার্থে হয়, সে রাজনীতি দেশকে কিছু দিতে পারে না, নিজেরা নিতে পারে। ইতিহাস তাদের ক্ষমা করে না। কিন্তু রাজনীতি যদি হয় জনস্বার্থে, জনগণের কল্যাণে, জনগণের মঙ্গলে তাহলে দেশকে কিছু দেওয়া যায়। তা আমরা প্রমাণ করেছি। একটা এতিমের সম্পদের লোভ সামলাতে পারে না। তারা এই দেশের ক্ষমতায় এসে জনগণকে কী দিতে পারে? কিছুই দিতে পারে না। লুটে নিতে পারে, লুটে খেতে পারে। আর ক্ষমতায় যখন ছিল, তাই করেছে। আর যদি কোনোদিন আসে ওই লুটেই খাবে। দেশের মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন হবে না।’
সংগঠনের ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা গণভবনে সাংগঠনিক নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনীতি করেন বলেই দেশ ক্রমেই উন্নত হচ্ছে।
বিএনপি-জামায়াত সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষমতায় থেকে তারা লুটপাট করেছে, তারা আর কখনো ক্ষমতা পেলে সাধারণ মানুষের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের উন্নয়নের কথা মানুষকে বারবার মনে করিয়ে দিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।