মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকারীদের জবাবদিহি করার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার বলে জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বৈশ্বিক সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
মাহমুদ আলী বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হওয়া সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম গুরুতর জাতিগত-ধর্মীয় নিধনের ঘটনা। তাদের নিরাপদ, স্থায়ী ও সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসন নিশ্চিতের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অব্যাহতভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে আশ্রয় ও সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন করেছে, তা সত্যিকারের দয়ালু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বভাবের প্রতিফলন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, উদার, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী সামাজিক কাঠামোর ঐতিহ্য বজায় রাখার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে নিঃশর্তভাবে ধর্ম, চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার- এই স্লোগানকে ধারণ করে বর্তমান সরকার ধর্মীয় উৎসবগুলো একসঙ্গে পালনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহনশীলতার চেতনাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন দেশের অনেক ধর্মীয় নেতা ও সুশীল সমাজের সদস্য এই সম্মেলনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও যোগ দেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর আমন্ত্রণে এই সম্মেলনে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।