কিছুদিন আগে ‘করণজিৎ কউর’র’ দ্যা আনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেন। এটি সানির বায়োপিক। সদ্য মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজটি। তবে সানির এই বায়োপিকে কেউ বলেছে সত্যিটা সামনে এসেছে। আবার কারও মনে হয়েছে, সানির জীবনের অনেক ঘটনাই নাকি দেখানো হয়নি। তবে যে যাই বলুক নিজের বায়োপিক দেখে কেঁদেছেন সানি। আর কেনো কেঁদেছেন এক সাক্ষাত্কারে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
সানির মা মারা যান ২০০৮-এ। ক্যানসারে দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার পর ২০১০-এ মারা যান সানির বাবা। বায়োপিকে সেটা দেখেই নাকি মন খারাপ হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি মিড ডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সানি বলেছেন, ‘‘আমি জানি যে, যাঁরা অভিনয় করেছেন তাঁরা আমার আসল বাবা-মা নন। কিন্তু অনস্ক্রিন বাবাকে ক্যানসারে ভুগতে দেখা বা অনস্ক্রিন মাকে কফিনে শুয়ে থাকতে দেখাটা মেনে নেওয়া সহজ নয়। বাবা-মা চলে যাওয়ার পর ভেবেছিলাম সত্যিটা মেনে নিতে পারব। কিন্তু সত্যিটা বোধহয় এখনও মানতে পারি না।’’
বলি মহলের প্রায় সকলেই এখন সানিকে একডাকে চেনেন। অভিনয় করছেন। করছেন সঞ্চালনা। তিন সন্তানের মা হয়েছেন। এক সময় পর্ন তারকার পেশা ছেড়ে বলিউডে নিজের পায়ের তলায় জমি শক্ত করেছেন একটু একটু করে। সানির এই জার্নির গল্পই দেখানো হয়েছে এই ওয়েব সিরিজে। একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ের ইমেজ থেকে কেন তিনি পর্নোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন? কানাডাবাসী মধ্যবিত্ত এক শিখ পরিবারের মেয়ে কী ভাবে অ্যাডাল্ট ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয়তা তৈরি করেছিলেন? কী ভাবে তা থেকে বেরিয়ে বলিউড মেনস্ট্রিমে জায়গা করে নিলেন? এ সব নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘করণজিৎ কউর: দ্য আনটোল্ড স্টোরি অফ সানি লিওন’।