নৌ পরিহনমন্ত্রী শাজাহান খানের কুশপুতুল পুড়িয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে নৌমন্ত্রীর কুশপুতুলে আগুন দেন শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মতো শাহবাগেও রাস্তা অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার কিছু আগে শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক থেকে একদল শিক্ষার্থী এসে সেখানে অবস্থান নেন। এরপর বেশ কিছু মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং আশপাশের স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা এসে জড় হতে থাকেন।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অবরোধের প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে। তবে, শিক্ষার্থীদের অবস্থানের আশপাশে পুলিশের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের ভাইয়েরা নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
এদিকে, দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০১ আগস্ট) সকাল থেকেই ইউনিফর্ম পরে ক্লাস বর্জন করে তারা মূল সড়কগুলোতে জড়ো হতে থাকেন।
উত্তরার হাউজ বিল্ডিং, যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তাসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করে তারা।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা ফার্মগেট এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া সকাল ৯টার দিকে মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান নিয়েছে ড. মাহবুবুর রহমান রহমান কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে গতকালের মতো আজও সারা ঢাকায় বাস কম দেখা যাচ্ছে। যানবাহন চলাচলে অচলাবস্থার ফলে বিপাকে পড়েছেন রাজধানীর মানুষ।
সকালে ফার্মগেট এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তারা ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়। এতে এই সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দশটার দিকে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পড়ে। এর আগে নিরাপদ সড়ক ও বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সারা দেশব্যাপী স্কুল কলেজগুলোতে বিক্ষোভের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা।
তেজগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘মঙ্গলবারও তারা রাস্তায় বসেছিল। আমরা দ্রুত তাদের সরিয়ে দিয়েছিলাম। আজও তারা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাস্তায় এসেছে। আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি, দ্রুত তারা রাস্তা ছেড়ে দিবে।’