দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০১ আগস্ট) সকাল থেকেই ইউনিফর্ম গায়ে ক্লাস বর্জন করে তারা মূল সড়কগুলোতে জড়ো হতে থাকে। তারা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করে।
এসময় ফার্মগেট থেকে ছেড়ে আসা বিভিন্ন গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষা করে। লাইসেন্স না থাকায় চালকদের গাড়ির চাবি নিয়ে নেন তারা।
একজন ছাত্র একটি লাইসেন্স দেখিয়ে বলেন, ‘এখানে তারিখ নাই, একারণে আমরা তাদের চাবি নিয়ে নিব।’
আরেকজন ছাত্র বলেন, ‘যাদের লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা নাই, তাদের লাইসেন্স নিয়ে নেয়া হোক। পুলিশের ওপর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে।’
বিমানবন্দর চত্বরেও ছাত্ররা লাইন্সেন্স পরীক্ষা করেছেন বলে সময়নিউজের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা ফার্মগেট এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়েছে। ফলে, ওই রাস্তা দিয়ে সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তারা ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়। এতে এই সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দশটার দিকে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বসে পড়ে। এর আগে নিরাপদ সড়ক ও বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে মঙ্গলবার সারা দেশব্যাপী স্কুল কলেজগুলোতে বিক্ষোভের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা।
তেজগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘মঙ্গলবারও তারা রাস্তায় বসেছিল। আমরা দ্রুত তাদের সরিয়ে দিয়েছিলাম। আজও তারা পূর্ব উত্তরার হাউজ বিল্ডিং, যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তাসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে হাতে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে আন্দোলন করে তারা।
সকালে ঢাকার এসব এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেল। সব জায়গায় বাস নেই। দু-একটা বাস চললেও তাতে যাত্রীতে ঠাসা। এর ফলে অফিসমুখী যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে ও রিকশায় যেতে হচ্ছে। এজন্য তাদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।