বিভিন্ন স্কুল কলেজের ইউনিফর্মে রাস্তায় ট্রাফিক সার্জেন্টের কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত কয়েকদিন ধরে স্কুলড্রেস পরে চলমান ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
তবে জানা গেছে, এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেড়েছে স্কুল-কলেজের ড্রেস বিক্রি। তবে, অনেকেই বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। শনিবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমরা গোয়েন্দা সূত্রে প্রমাণ পেয়েছি, স্কুল ড্রেস তৈরির হিড়িক পড়েছে। স্কুলড্রেস পরে ছাত্রদের মাঝে ঢুকে যৌক্তিক আন্দোলনকে অন্যখাতে প্রবাহিত করে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে একটি চক্র। এ কারণে আমরা ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’
বছরের শুরুর দিকে স্কুল ড্রেস বিক্রির চাপ থাকলেও বছরের মাঝামাঝি অবস্থানে এই বিক্রি যে অস্বাভাবিক তা মানছেন বিক্রেতারাও।
বিক্রেতারা জানান, বছরের শেষদিকে এই সময়ে শার্টের তেমন চাহিদা থাকে না। তার মধ্যে এখন যে হারে তা বিক্রি হচ্ছে, তা বছরের শুরুর দিকের চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরদিন থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মাঠে নামে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। পর্যায়ক্রমে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীসহ পুরো দেশজুড়ে।
তবে এই অস্বাভাবিক বিক্রিকে সন্দেহের চোখে দেখছেন সচেতন অনেকেই। কারণ এরই মধ্যে এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় কিছু মহল এমন বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে।
একটি রাজনৈতিক দলের নেতার ফোনালাপের অডিও প্রকাশিত হয়েছে। যে খাতে আন্দোলনকে তাদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া ফেসবুক ও মেজেঞ্জারেও চলছে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক প্রচারণা ও অপপ্রচার।
শুক্রবার শাহবাগ এলাকায় গাড়ির লাইসেন্স পরীক্ষার সময় আমিনুল ইসলাম নাম উল্লেখ করে বাসদ নেতা পরিচয় দেয়া একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তবে, এই স্কুল ড্রেস কারা কিনছে, সে বিষয়টি নিশ্চিত নন বিক্রেতারাও। তারা বলছেন, আমাদের কাছে কিনতে আসলে আমরা বিক্রি করছি। কিন্তু তারা ছাত্র কিনা, সে বিষয়টি তো আমরা বলতে পারবো না।
তবে, অনেকের ধারণা এই আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে অথবা আন্দোলনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে বিশেষ গোষ্ঠীর অছাত্ররাও হয়তো এই ড্রেস কিনে থাকতে পারে।
বিক্রি বৃদ্ধি পাওয়া স্কুল ড্রেসের মধ্যে বিক্রি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সাদা শার্টের। তবে আন্দোলনকারীদের প্রত্যাশা সব ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে সফল হবে তাদের এ আন্দোলন।