কে হবেন রিয়াল মাদ্রিদের ভবিষ্যতের এক নম্বর গোলরক্ষক? ডেভিড ডি গিয়া থেকে শুরু করে অ্যালিসন বেকার কিংবা কেপা আরিজাবালাগা? গুঞ্জনে শুনা যায় এরকম আরও অসংখ্য নাম। তবে শেষ পর্যন্ত থিবাউ কুর্তোয়াকেই বেছে নিয়েছে ইউরোপ সেরার মুকুট পড়া রিয়াল মাদ্রিদ।
হ্যাঁ, সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক থিবাউ কুর্তোয়ার সঙ্গেই চুক্তি-স্বাক্ষর করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন চেলসি নিশ্চিত করেছে যে, ৩৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে কুর্তোয়াকে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করেছে তারা। সেইসঙ্গে রিয়াল থেকে ধারে মাতেও কোভাসিচ লন্ডনের ক্লাবটিতে খেলবে।
২০১১ সালে চেলসিতে যোগ দিয়েছিলেন কুর্তোয়া। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ক্লাবটি তাকে ধারে খেলার জন্য পাঠিয়ে দেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। এরপর ২০১৪ সালে কুর্তোয়াকে নিজেদের দলে টেনে নেয় চেলসি। এই সময়ের মধ্যেই নিজেকে বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা একজন গোলরক্ষকে পরিণত করেন কুর্তোয়া।
গত মাসে শেষ হওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপেও দেখা গেছে কুর্তোয়ার ঝলক। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে দল বিদায় নিলেও বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর থেকেই বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষকের ওপর নজর দেয় রিয়াল মাদ্রিদ।
তা বুঝতে পারেন কুর্তোয়া। বেলজিয়ামের এই তারকা গোলরক্ষকও স্ট্যামফোর্ডব্রিজ ছেড়ে মাদ্রিদে যেতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তার পেছনের কারণটা পারিবারিক। তার পরিবার যে থাকে স্পেনের রাজধানীতে। যে কারণেই চেলসির সঙ্গে আরও এক বছরের চুক্তি থাকলেও দুই সন্তানের কাছে যেতেই চেলসি ছাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন কুর্তোয়া।
চেলসির হয়ে ১৫৪ ম্যাচ খেলেছেন বেলজিয়ামের এই গোলরক্ষক। এই সময়ের মধ্যে দুটি প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন তিনি।
আগামী ১৫ আগস্ট উয়েফা সুপার কাপে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামতে তাই কুর্তোয়াকে হয়তো খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না।