আগামীকাল রবিবার ‘হাফ আখড়াই’ নাটকের ৫৮তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। উনিশ শতকের গোড়ার দিকে বাংলা টপ্পা গানের একটি দলকে ঘিরে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, নারীর প্রতি সে সময়ের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধনী-গরিব বৈষম্যের বিষয়গুলোই এ নাটকটির মূল প্রতিপাদ্য।
১২ আগস্ট, রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর দর্শকনন্দিত নাটক ‘হাফ আখড়াই’-এর পরিবেশনা।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং উদীচীর কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর রচনা ও আজাদ আবুল কালামের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন উদীচী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের শিল্পীরা।
নাট্যকার রতন সিদ্দিকী প্রিয়.কমকে বলেন, ‘১৮০৪ সালে বাংলা টপ্পা গানের জনক রামনিধি গুপ্ত কলকাতায় প্রতিষ্ঠা করেন আখড়াই। নিজস্ব পদ্ধতিতে সংগীত শিক্ষা প্রচলনের মাধ্যমে দ্রুতই কলকাতার অভিজাত শ্রেণির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু বয়সের ভারে শিষ্য মোহনচাঁদের কাছে শিক্ষাগুরুর দায়িত্ব হস্তান্তরের পরই ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে তার প্রতিষ্ঠিত আখড়াইয়ের চেহারা।
গুরু-শিষ্যের দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মোহনচাঁদ গঠন করেন আলাদা দল, যার নাম হয় “হাফ আখড়াই”। এ দ্বন্দ্বই অত্যন্ত নিপুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে “হাফ আখড়াই” নাটকে।’
পরিচালক আজাদ আবুল কালামের মতে, ‘মোহনচাঁদের হাতে দলের দায়িত্ব যাওয়ার পর বাংলা টপ্পা গানের আরেক বাঁক পরিবর্তন দেখা দেয়। এ পরিবর্তন শৈল্পিক না হয়ে ছিল গণমানুষমুখী। ঐতিহাসিক উপাদান এখানে মূল উপজীব্য নয়, ইতিহাসের ছাইয়ের ভেতরে আত্মার হাহাকারই এই নাট্যক্রিয়ার উষ্ণীষ তথা পাগড়ি।’