ভুয়া নিবন্ধনের কারণে ছয় শতাধিক মানুষ এ বছর হজে যেতে পারছেন না। এসব নিবন্ধনের ভিসা আবেদনও করা হয়নি। ফলে খালি থেকে যাবে এসব আসন।
অনিয়ম ঠেকাতে দেশে হজের প্রাক নিবন্ধন করা হয় অনলাইনে। তারপরও কিছু এজেন্সির অনিয়ম ঠেকানো যায়নি। এসব এজেন্সি পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্রে কারসাজির আশ্রয় নিয়ে নাম নিবন্ধন করে। পরে নিবন্ধিত ব্যক্তিকে অসুস্থ দেখিয়ে রিপ্লেসের সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। এমন বেশ কিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, নিবন্ধিতদের মধ্যে এবছর ১২ জন মৃত এবং দশ হাজার সাতশ আটজন অসুস্থতার জন্য রিপ্লেসের সুযোগ পেয়েছে এজেন্সিগুলো। এরপরও ছয়শ ২৫ জনের ভিসার জন্য আবেদনই করেনি তারা।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, পাসপোর্টে ভুল নাম, ভুল এনআইডি, পাসপোর্ট নম্বর ভুল দিয়ে এগুলোর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নেয়। একই পাসপোর্ট দুইজনের নামে। তা তো হতে পারে না। ফলে এসব বিভ্রান্তিমূলক পাসপোর্ট দিয়ে যারা রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের আমরা শনাক্ত করতে পারছি না। আমাদের ইন্টিগ্রেশন নাই গত দুইবছর ধরে চেয়েছিলাম তারা ম্যানুয়ালি পরীক্ষা করে দুই ধাপে পাঠিয়েছে। এখানে আমাদের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিংবা চার হাজারের মতো সংখ্যা রয়েছে, যাদের পাসপোর্টের মিল নেই। আমার ধারণা এরমধ্যে ছয়শ থেকে ছয়শ আটত্রিশ জন ভুয়া নিবন্ধনধারী রয়েছে। হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব, কেন তারা এমন করলো। তারা আগে থেকে আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা অন্য ব্যবস্থা নিতে পারতাম। সুরক্ষা বিভাগ বলছে, তারা এবছর থেকে বিষয়টি দেখবে। তাহলে আগামী বছর থেকে এমন পরিস্থিতি আর হবে না।
তিনি আরও বলেন- ভুয়া নিবন্ধনকারী এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী বছর যেন কোনও ভুয়া নিবন্ধন না থাকে সেই উদ্যোগ নেয়া হবে।
তবে হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ হাবের দাবি, অসুস্থতাসহ নানা কারণে এসব নিবন্ধিত ব্যক্তি হজে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন না।
হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, তারা স্বেচ্ছায় জানিয়েছেন যে তারা হজে যাবেন না। নিজেদের অসুস্থতা ও অন্য কোনও কারণ হয়তো আছে। তাই এসব নিবন্ধিত ব্যক্তিরা হজে যেতে পারেননি।
আগামী হজের আগেই হজে ভুয়া নিবন্ধন শনাক্ত করা গেলে, দেশ থেকে শতভাগ হাজি পাঠানো সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।