নারী কাবাডিতে পদকের আশা শেষ

: এডমিন, সম্পাদনায়- সাইমুর রহমান
: ৬ years ago

এশিয়ান গেমসে মেয়েদের কাবাডি দলের এটি তৃতীয় অংশগ্রহণ। আসরে কাবাডির নারী বিভাগে বাংলাদেশ খেলছে ‘বি’ গ্রুপে। বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া। আজ ইরানের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১০ গুয়াংজু ও ২০১৪ ইনচিয়ন এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক কুড়ায় বাংলাদেশ নারী কাবাডি দল। আগের দুই আসরে চাইনিজ তাইপের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়নি বাংলাদেশের।নতুন এ প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে নেমে ভালো সূচনার পর খেই হারিয়ে ফেলে কোচ আবদুল জলিলের দল। লড়াইয়ে প্রথম পয়েন্ট এসেছিল বাংলাদেশেরই। দুই পয়েন্ট নিয়ে ভালোই সূচনা করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু তারপর ক্রমেই ম্যাচ চলে যায় তাইপের হাতে। দীর্ঘ আড়াই বছর কাবাডির কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। এমন কি ঘরোয়া প্রতিযোগিতাও হয়নি। ইন্দোনেশিয়ায় দল পাঠানোর আগে মেয়েদের জন্য একটা প্রস্তুতি ম্যাচও আয়োজন করতে পারেনি বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন। তারই খেসারত দিল নারী দলটি। অথচ ছয়টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে এবারের এশিয়ান গেমসে লড়াইয়ে নেমেছে চাইনিজ তাইপে। হার শেষে কোচ আবদুল জলিল বলেন, ‘আমাদের কল্পনারও বাইরে ছিল তাইপে এত ভালো খেলবে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম এই ম্যাচটি জিতবো। কিন্তু পারলাম না।’ দলের সমস্যাটাও বাতলেছেন কোচ জলিল। তিনি বলেন ‘তাইপে বোনাস পয়েন্ট নিতে এত ভালো খেলেছে যে, আমরা ঠেকাতে পারিনি। এই জায়গায় আমাদের বড় সমস্যা হয়েছে। তারা সাতটি বোনাস পয়েন্ট নিয়েছে। বাংলাদেশ চারটি। বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় শাহনাজ পারভীন মালেকা এমন হারে ভীষণ হতাশ। তিনি বলেন ‘এই চাইনিজ তাইপে দলটা এখানে আসার আগে ছয়টি অনুশীলন ম্যাচ খেলেছে, বাংলাদেশ একটিও নয়। তাইপে দলটি গত বছর এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে ইরানে, আমরা খেলিনি। সেখানে খেললে হয়তো তাইপে সম্পর্কে একটা ধারণা পেতাম।’ আজ ইরানের সঙ্গে খেলা নারী কাবাডি দলের। পরদিন দক্ষিণ কোরিয়া। এই দুটি ম্যাচ আরো কঠিন হবে বাংলাদেশের জন্য। ইরান গত এশিয়াডে রুপা জিতেছে। গত দু’বার ব্রোঞ্জ এসেছিল কোরিয়াকে হারিয়ে। তবে, এবার কোরিয়ার প্রস্তুতি দেখে বাংলাদেশ দল ভাবছে, এবার আর সম্ভব হবে না দলটিকে হারানো। তাই এবার এশিয়াডের নারী কাবাডি থেকে বাংলাদেশের পদক নিয়ে ফেরা কেবল কঠিনই নয়, এক প্রকার অসম্ভবই।