জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানকে ৩০ কোটি ডলারের সহায়তা বাতিল করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে পেন্টাগন। এর আগেই তারা এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত ছিল না। সেই সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন পাকিস্তানের সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটতে পারে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানকে দেয়া আগেকার সব সহায়তা কোনো কাজেই আসে নি, সেটা ছিল একটি মিথ্যের বেসাতি- এমন মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।তিনি তখনই কোয়ালিশন সাপোর্ট ফান্ড থেকে পাকিস্তানকে দেয়া সহায়তা স্থগিত ঘোষণা করেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসন থেকে বলা হয়, আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে যুদ্ধ জিইয়ে রাখছে যেসব উগ্রপন্থি তাদের নিরাপদ আশ্রয় দিচ্ছে ইসলামাবাদ। তবে এমন অভিযোগ সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান। তবু যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দেয়, পাকিস্তান যদি তাদের আচরণ পরিবর্তন করত পারে তাহলে হয়তো তারা ওই সহায়তা ফিরে পেতে পারে। এই গ্রীষ্মে কোয়ালিশন সাপোর্ট ফান্ড থেকে ওই ৩০ কোটি ডলার ছাড় দেয়ার মতো সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জিম মাত্তিস। তিনি সেটা করতে পারতেন, যদি দেখতেন উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু তিনি তা করেন নি। ফলে পেন্টাগন মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল কৌন ফকনার বলেছেন, সাউথ এশিয়া স্ট্রাটেজিতে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থতার জন্য পাকিস্তানের সহায়তার ৩০ কোটি ডলার রিপ্রোগ্রাম করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যদি কংগ্রেস অনুমোদন করে তাহলে এই অর্থ অন্য জরুরি অগ্রাধিকারে ব্যবহার করা হবে। এর আগে এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানকে দেয়া আরো ৫০ কোটি ডলারের সহায়তা বাতিল করে কংগ্রেস। ফলে পাকিস্তানকে দেয়া মোট ৮০ কোটি ডলার প্রত্যাহার করে নিল যুক্তরাষ্ট্র।