তাড়াহুড়ো করে ইভিএম চাপিয়ে দেয়া যাবে না

নির্বাচন ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইলেকশন হবে। জনগণ যদি সঙ্গে থাকে তাহলে কেউ ইলেকশন বানচাল করতে পারবে না। নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগ সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইভিএম নিয়ে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না।

নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আর কোনো আলোচনা হবে না। নতুন রাজনৈতিক জোটকে স্বাগত জানিয়ে সরকার প্রধান বলেছেন, বিকল্প জোট হিসেবে তারা নির্বাচনে আসতে পারে। গতকাল বিকালে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন হলেও প্রশ্নোত্তর পর্বে শেখ হাসিনা আসন্ন নির্বাচন, রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আদৌ হবে কি না গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের এমন সংশয়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, তিনি (কামাল হোসেন) আদৌ নির্বাচন চান কিনা? কামাল হোসেন ও গংয়েরা নির্বাচন চান কিনা?

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। কারণ এটা প্র্যাকটিসের ব্যাপার। আমাদের পরীক্ষামূলক দেখতে হবে। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই হয়। ইভিএমটা নিয়ে আসার জন্য আমিই কিন্তু সবসময় পক্ষে ছিলাম। এখনও পক্ষে আছি। আমরা চাচ্ছি, কিছু কিছু জায়গায় শুরু হোক, সীমিত আকারে এটা দেখুক। প্রযুক্তির কোনো সিস্টেম লস হয় কি না, সেটা দেখা যাক। সেটা হলে সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করা হবে। এমন না যে এটাই শেষ কথা। আমরা সীমিত আকারে শুরু করি প্রযুক্তির ব্যবহার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারচুপি করতে পারবে না বলে বিএনপি ইভিএমে আপত্তি জানাচ্ছে। কারণ তাদের জন্মটাই কারচুপির মাধ্যমে। তারা আবার কারচুপির কথা বলে। ইভিএম হলে সেই কারচুপিটা করতে পারবে না। একের বেশি ভোট দিতে পারবে না, সিল মারতে পারবে না- সেজন্য তারা আপত্তি জানাচ্ছে। এটা স্পষ্ট।

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএমের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, সবচেয়ে সুবিধা হলো, যেই মানুষটা যাচ্ছে, একটা টিপ দিয়ে ভোট দিয়ে আসছে এবং সঙ্গে সঙ্গে রেজাল্টটা পেয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি বিএনপি আমলে ভোট কারচুপির কথাও বলেন শেখ হাসিনা। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা দখলের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভোটে যে কারচুপির রাজনীতি, সেটা তো জিয়াউর রহমানই প্রথম এনেছেন এদেশে। কারণ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে, সেটাকে বৈধ করতে চেয়েছেন তিনি। আজকে বিএনপি যখন সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে। তারা তাদের জন্মস্থানটা খোঁজ করুক। কোথায়, কীভাবে হয়েছে দেখুক। তাদের জন্মের সূত্রটা, লগ্নটা মনে করুক। শুভ না অশুভ লগ্ন নিয়ে তারা জন্ম নিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোট গঠনের বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে ওই জোটকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি জোটের শরিকদের সম্পর্কে সরস মন্তব্য করেন তিনি। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি কি আদৌ নির্বাচন চান?
বাংলাদেশের একটি শ্রেণি তো বসেই থাকে। তারা মনে করে যে কোনো অসাংবিধানিক শক্তি যদি ক্ষমতা দখল করতে পারে তাহলে তারা একটা পতাকা পেতে পারে, তাদের গুরুত্ব বাড়ে। ড. কামাল তো বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি আবার নিজেকে সংবিধান প্রণেতা বলে দাবি করেন। সেই তিনিই আবার সংবিধান মানতে চান না। তারপরও আমরা সাধুবাদ জানাই যে তারা কয়েকজন মিলে একটি জোট গঠন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেতো দুটি পার্টি রয়েছে একটি আওয়ামী লীগ আরেকটি এন্টি আওয়ামী লীগ। তো আওয়ামী বিরোধীদের তো একটি জায়গায় লাগবে যাওয়ার। ড. কামাল হোসেন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনার পকেটে সব সময় টিটি থাকে। যদি কোনোদিন উনি গরম বক্তব্য দেন যে আজ থেকে সব কাজ বন্ধ। তাহলে ধরে নিই যে উনার প্লেন রেডি। বদরুদ্দোজা চৌধুরী সাহেব তিনি আমাদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বিটিভিতে এক সময় তিনি আপনার ডাক্তার নামে প্রোগ্রাম করতেন। সেটা করে তিনি খুব ভালো জনপ্রিয়তা পান। ৭৫ সালের পর তিনি বিএনপি করতে যান। কিন্তু খালেদা জিয়াও তো তাকে সম্মান দেননি। বঙ্গভবনের অন্দরমহল থেকে তাকে বের করে রেললাইনের উপর দিয়ে তাকে দৌড়িয়েছেন। উনার ভাগ্যে সেটাই জুটলো।

বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিকল্পধারা করেছিলেন। কিন্তু এখন সেই বিকল্প স্বকল্প হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আ স ম আবদুর রব সাহেব একসময় ছাত্রলীগ করতেন। তারপর ছাত্রলীগ ছেড়ে চলে গেলেন। আমরা ছাত্ররা বলতাম, দুঃসময়ে নীরব, সুসময়ে সরব, আ স ম আবদুর রব। তিনি সব সময় অসময়ে নীরব আর সুসময়ে সরব। কাদের সিদ্দিকী আমাদের সঙ্গে ছিলেন। ১৯৯৬ সালের সংসদে কে কি তার মাথায় ঢুকালো আমরা জানি না তিনি রিজাইন দিয়ে স্বতন্ত্র ইলেকশন করে আসলেন। আওয়ামী লীগ এমপিরা তাকে ভোট দেবেন, বিএনপির এমপিরা তাকে ভোট দেবেন। আর তিনি হবেন প্রধানমন্ত্রী। এই মাকাল ফলটা তাকে কে দেখালো আমরা জানি না। সে আশা নিয়ে তিনি পদত্যাগ করে ইলেকশন করতে গিয়ে নৌকা মার্কা ছাড়া জিতে আসতে পারলেন না। এ সময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সম্পর্কেও সরস মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সম্পর্কে তিনি বলেন, মান্না এক সময় আমাদের দলে (আওয়ামী লীগ) ছিলেন। তিনি বেশ ভালো লেখেন। যখন আওয়ামী লীগে এলেন, আমি বললাম, যখন অন্য দল করতেন তখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বেশি বেশি লিখতেন। তো এখন আমাদের পক্ষেও কিছু লেখেন। উনি পক্ষেই লিখতে পারেন না। পক্ষে লিখতে বললেই মান্না জুড়ে দেয় কান্না।

তিনি বলেন, আদৌ নির্বাচন হবে কিনা যারা বলেন তারা কোনো কিছু হলে উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। এটাই তো বাস্তবতা। যেমন আমার বাবাকে হত্যা করেছে। যিনি এই দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেলেন তাকে যারা খুন করতে পারে তো সেদেশে কিনা হতে পারে! আমি তো মৃত্যু মুখে আছি সব সময়। তাদের একমাত্র টার্গেট তো আমি। আমার কোনো আকাক্সক্ষা নেই। আমি যে দেশের উন্নতিটা করতে পারি, তার জন্য আমরা টানা দু’বার ক্ষমতায়। আজকের উন্নয়নগুলো দৃশ্যমান। মানুষ তার সুফল ভোগ করছে। মানুষ যদি এই সুফলটা অব্যাহত থাকুক চায়, একটা শান্তিপূর্ণ পরিবশে যদি চায়, আর উন্নতি যদি চায়… আমার মানুষের ওপর এতটুকু বিশ্বাস আছে, তারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের জয়ী করবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সরকারের কিছুই করার নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলটির নির্বাচনে আসা না আসা তাদের নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। একটা সরকার থেকে আরেকটা সরকারের যে ট্রানজিট পিরিয়ড সেসময় যাতে কোনো ফাঁক না থাকে সেজন্যই নির্বাচনের সময় সংসদ বহাল রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর খালেদা জিয়াকে তো আমি গ্রেপ্তার করিনি। তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছে তাহলে তারা আন্দোলন করুক। তারা আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে, হুঙ্কার দিচ্ছে খুব ভালো কথা। এখন বলছে নির্বাচন করবে না। তারা কী করবে না করবে এটা তাদের সিদ্ধান্ত। কে নির্বাচন করবে কে করবে না এখানে বাধা দেয়ার কিছু নেই বা দাওয়াত দেয়ারও কিছু নেই। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ছেলে মারা যাওয়ার পর আমি গেলাম, আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমাকে ঢুকতে দিল না। আমি সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ওদের সঙ্গে আর আলোচনা নয়। আমি অন্তত ওদের সঙ্গে বসবো না। আর কোনো আলোচনা হবে না। প্রশ্নই ওঠে না। আপনারা যে যাই বলেনÑ ক্ষমতায় থাকি বা না থাকি। আমার কিছুই আসে যায় না।

তিনি (খালেদা জিয়া) যদি মুক্তি চান, কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে। দ্রুত চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মামলা আমাদের সরকারের দেয়া নয়। ওনারই পছন্দের ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিন সাহেবের আমলে দেয়া। কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির তো অনেক হোমরা-চোমরা আইনজীবী আছেন। তবু তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছেন। তারা আন্দোলন করুক। বিএনপি যদি নির্বাচন না করে, করবে না। নির্বাচন হবে, নির্বাচন ঠেকানোর শক্তি কারও নেই। বিএনপির নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ দেশে সব রকমের সরকার ব্যবস্থার অনুশীলন দেখেছি। কোনোটিই কাজে লাগে না। আর একবার কেউ ক্ষমতায় বসলে ক্ষমতা কেউ ছাড়তে চায় না। কেয়ারটেকার, মার্শাল ল’ সবই তো দেখা হয়েছে। কোনোটিই কাজ করে না। খালেদা জিয়ার আমলে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৫ই ফেব্রুয়ারির ভোটের কথা যদি কারও মনে থাকে, তারা কী করেছিল। ঘোষণা দিয়েছিল দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী। ১৫ দিনও ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। জনগণ চাইলে তো থাকতে পারত। বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ভারতে নির্বাচনের সময় পার্লামেন্ট বহাল থাকে। আগামী মে মাসে ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার দুই মাস আগে তাদের নির্বাচন করতে হবে। সেখানে তো পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হয় না।

গণমাধ্যমে বিএনপিকে প্রাধান্য দেয়া হয় মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে দুর্নীতি, ঘুষ নেয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির সৌভাগ্য, মিডিয়া তাদের সাহায্য করে। আমি তো তিন-চার নম্বরে। মিডিয়ায় তারা প্রাধান্য পায়। আজও দেখলাম আমি তিন-চার সিরিয়ালে।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ যদি এ দেশের উন্নয়ন চায় তাহলে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। যদি আবার আমরা ক্ষমতায় যেতে পারি তাহলে এ দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবো এবং ২০২১ সালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। দেশের মানুষ উন্নত জীবন পাবে। আর আমরা যদি ক্ষমতায় না আসতে পারি তাহলে যারা এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন তারা আবার ক্ষমতায় আসবে। তারা আবার দেশের সম্পদ লুটপাট করবে এটাই বোধ হয় ভালো।
মিথ্যা ছবি দিয়ে মিয়ানমারের বিভ্রান্তি ছড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তারা ছবিটা নিয়ে যেটা করল, এটা আমি মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের এখানেও কিন্তু এ রকম হয়েছে। প্রশ্নটা হলো এরা শিখল কার কাছ থেকে? স্মরণ করাতে চাই, জামায়াত-বিএনপি মিলে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছিল। রোহিঙ্গা নিধনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার যা করেছে, তা অত্যন্ত জঘন্য কাজ। নিজেরাই নিজেদের সম্মানটা নষ্ট করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে নিজেরাই নিজেদের অবস্থান খারাপ করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কখনো চায়নি প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো সংঘাতপূর্ণ অবস্থা তৈরি হোক।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার ব্যাপারে আমরা সব সময় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমার কখনো আপত্তি করে না। বলে নিয়ে যাবে। এটা ঠিক, বাস্তবতা হলো তারা বলে, কিন্তু করে না। বিমসটেক সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনাÑ জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সম্মেলনে সাধারণত দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো আনা হয় না। তবে রিট্রিট সেশনে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে আমাদের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। তারা বলেছেন, তারা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত। এটুকু বিষয়ে তার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আমি কথা বলেছি। সংবাদ সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ১০০ বছরে কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা চলছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল থেকে কী করবো, তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দিয়ে যাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *