নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের বিশেষ জজ ৯-এর বিচারক মাহমুদুল কবির এ আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া স্বদেশ নিউজ 24 অনলাইনকে জানান, আজ এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে সময়ের আবেদন করলে বিচারক মঞ্জুর করে আগামী ১১ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার জন্য হাজিরা পরোয়ানা জারি করেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

পরে ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই নাইকো দুর্নীতির মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত ও রুল জারি করেন আদালত। অবশ্য এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *