অনেকটা কৌতুক করলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ। রাবার বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। এ সময় বলেন, মালয়েশিয়ার রাবার ছাড়া বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতো। উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার রাবার দিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রি কনডম তৈরি করা হয়। আর সেই কনডম দিয়ে বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মাহাথির মোহাম্মদ সেদিকটিতে ইঙ্গিত দিয়ে ওই মন্তব্য করেন। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার অনলাইন দ্য স্টার। এতে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় হচ্ছে ৯ম ইন্টারন্যাশনাল রাবার গ্লোভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ২০১৮।এর উদ্বোধনী বক্তব্য রাখছিলেন তিনি। ড. মাহাথির এ সময় বলেন, মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান রাবার শিল্প বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছে। তা শুধু যে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে তা-ই নয়, একই সঙ্গে মানবতার সেবা করছে। সুর একটা হালকা করে তিনি বলেন, রাবার গ্লোভ (তিনি আসলে কনডমকে বুঝিয়েছেন) অসংখ্য মানুষের জন্ম থামিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কনডম ছাড়া বিশ্বকে কল্পনা করুন। যদি বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা ৭০০ কোটি হয় তাহলে কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকলে তা অল্প সময়ের মধ্যে ১০০০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। তাই আবারো বলি রাবার মানবতার সেবায় বিরাট এক অবদান রেখে যাচ্ছে। তার এ বক্তব্য দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত দর্শক ও শ্রোতাদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে যায়। হাততালি দিয়ে তারা মাহাথিরকে অভিনন্দন জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ৪ঠা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনের এই সম্মেলন। এর আয়োজক মালয়েশিয়ান রাবার গ্লোভ ম্যানুফ্যাকচারারস এসোসিয়েশন। এতে যে প্রদর্শনী হচ্ছে তাতে অংশ নিয়েছে ১৪টি দেশ। আর সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে ৮০০ জন। এতে ১০ হাজার ব্যবসায়ীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হবে বা তারা সেখানে যাবেন বলে ধরে নেয়া হচ্ছে। মালয়েশিয়া থেকে যত রাবারের পণ্য গত বছর রপ্তানি করা হয়েছে তার মধ্যে শতকরা ৭৩.২ ভাগই রাবার গ্লোভ। এ জন্য এখাতে যারা গবেষণা ও উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত আছেন তাদেরকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাহাথির মোহাম্মদ। তিনি বলেছেন, রাবার শিল্প অব্যাহতভাবে নতুন নতুন পণ্য তৈরি করছে। এর মধ্যে রয়েছে অপারেশনে ব্যবহৃত সার্জিকেল গ্লোভস ্েযথকে শুরু করে রাবারের টায়ার। ফলে তিনি অন্যান্য বৃক্ষ নিয়ে আরো গবেষণার আহ্বান জানান। বলেন, যেসব গাছ মালয়েশিয়ায় আছে অথবা সেখানে জন্মানো যাবে এমন গাছ নিয়ে গবেষণা করতে হবে। যাতে তা থেকে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করা যায়। এ শিল্পকে তিনি নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন, তার প্রশাসন হবে ব্যবসাবান্ধব। এসব শিল্পকে সামনে এগিয়ে যেতে সহায়তা দেয়া হবে।