‘মাঝামাঝি একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি’

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাঁধন সরকার পূজা। এরইমধ্যে ধারাবাহিকভাবে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। নিজেকে অডিও শিল্পের একজন নির্ভরযোগ্য শিল্পী হিসেবেও প্রমাণ করেছেন। চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতার পর থেকেই পূজা অডিও অ্যালবাম, স্টেজের পাশাপাশি প্লেব্যাকও করেছেন। বেশ কয়েকটি ছবিতে তার গাওয়া গান প্রশংসিত হয়েছে। সব মিলিয়ে পূজা এখনও ব্যস্ত সময় পার করছেন গান নিয়ে। কেমন চলছে দিনকাল? পূজা উত্তরে বলেন, বেশ ভালো। গান নিয়েই আসলে কেটে যাচ্ছে সময়টা।বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? পূজা বলেন, নতুন গান, স্টেজ ও টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে। এরইমধ্যে বেশ কিছু নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছি। সেগুলো সামনে হয়তো আসবে। আর নতুন কিছু পরিকল্পনাও আছে। বড় একটি চমকও থাকবে এর মধ্যে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাই না। আগে সব ঠিকঠাক হোক তারপর সবাইকে জানাবো। আর সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত স্টেজ ও টিভি অনুষ্ঠান নিয়ে। চলতি বছর কি গানের সংখ্যা তুলনামূলক কম? পূজা বলেন, চলতি বছর গানের সংখ্যা কম না। আমি নির্দিষ্ট সময় পর পরই গান প্রকাশ করেছি। গানগুলো শ্রোতারা গ্রহণও করেছে সেভাবে। চলতি বছরটা শুরুই করেছিলাম তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে করা ‘একটাই তুমি’ গান দিয়ে। এ গানটি ইউটিউবে প্রায় কোটি ভিউয়ের দ্বারপ্রান্তে। আমার দ্বিতীয় গান হিসেবে কোনো গান এর মাধ্যমে কোটির ঘরে পা রাখছে। তাই বিষয়টি নিয়ে আমি হ্যাপি। এরকম ভালো গানকে প্রমোট করাও আসলে প্রয়োজন। সামনে গান নিয়ে পরিকল্পনা কি? পূজা বলেন, সত্যি বলতে ভালো মানের গান করে যেতে চাই। এটাই আমার মূল লক্ষ্য।

সেরকম কিছু কাজই করছি। সামনেও করবো। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গানে ভ্যারিয়েশনও আনতে চাই। সেজন্য আমি বিভিন্ন সুরকারের সঙ্গে কাজ করছি। আশা করছি ভালো ও ভিন্ন কিছু গান সামনে শ্রোতাদের উপহার দিতে পারবো। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন কেমন মনে হচ্ছে? পূজা বলেন, এখন অবস্থা খুব ভালোও না। আবার খুব খারাপও না। মাঝামাঝি একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি আমরা। তবে যেহেতু ডিজিটালি গান প্রকাশ শুরু হয়েছে বছর দুয়েক ধরে, আমার মনে হয় আরো সময় লাগবে এ জায়গাটিতে অভ্যস্ত হতে। সব মিলিয়ে আরো সময় দিতে হবে আসলে। কোম্পানিগুলোও এখন ভালো গানে বিনিয়োগ করছে। তাছাড়া নিজে স্বত্ব রেখেও গান প্রকাশ করা যাচ্ছে। এখন ইচ্ছেমতো গান প্রকাশ করা যায়। আমার মনে হয় সামনে অবস্থা আরো ভালোর দিকে যাবে। গানের ক্ষেত্রে পারিবারিক সাপোর্টটা কেমন ছিল? পূজা বলেন, অনেক বেশি ছিল। আমার বাবা-মা আমাকে ছোটবেলা থেকেই অনেক উৎসাহ দিয়ে আসছেন। তাদের উৎসাহেই গান করার সাহস পেয়েছি।

তারা না হলে আমার হয়তো আজকের অবস্থানে আসা হতো না। এখন আমার ছোট দুই বোন এবং স্বামী অন্তুও খুব উৎসাহ দেয় গানের ক্ষেত্রে। সব মিলিয়ে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাপোর্টটা অনেক ভালো। এটা আসলে সবার ভাগ্যে জোটে না। আমি সেদিক থেকে ভাগ্যবতী। এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। সংসার কেমন চলছে? পূজা উত্তরে হেসে বলেন, সংসার চলছে সুপার। আমার স্বামী অন্তুর সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা খুব ভালো। এই বিষয়টা সংসারের ক্ষেত্রে খুব বেশি জরুরি। তাছাড়া আমার গানের ক্ষেত্রেও সে খুব ইতিবাচক। তার সহযোগিতা ও উৎসাহেই এখন গান করছি। সব মিলিয়ে আমরা খুব ভালো আছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *