‘নির্বাচনের বাইরে রাখতেই সরকার মামলা করছে’

নির্বাচন থেকে বিএনপিকে বাইরে রাখতেই সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ দিনে তিন হাজারের বেশি মামলায় আসামি করা হয়েছে দুই লাখের বেশি বিএনপি নেতাকর্মীকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার জনকে। এসব মামলায় মৃত ব্যক্তিদেরও নাশকতা ও গোপন বৈঠক করতে দেখেছে পুলিশ।

রোববার বেলা ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব জাতিসংঘ সফরে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। আর সেই জন্য তিনি জাতিসংঘ সফর নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। জাতিসংঘ কি এমন কোনও সংস্থা যে তারা দাওয়াত না দিলে যাওয়া যাবে না? আসলে মূলত মহাসচিবের জাতিসংঘ সফরে প্রধানমন্ত্রী উতকণ্ঠায় আছেন।

জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বেগম জিয়া গত বছরে বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।সরকারকে পদত্যাগ এবং সেনা মোতায়েন করতে হবে। এখন আমরা অত্যন্ত খুশি ও আশাবাদী যে, বিএনপি ও ২০ দলের বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন, ব্যক্তি আমাদের দাবির সঙ্গে একমত। এইগুলো এখন শুধু বিএনপির দাবি নয়, জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে।

জামায়াত ছেড়ে দিয়ে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্য করতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, এ কথা আমরা এখনও শুনিনি। গতকাল যে দফা দিয়েছেন সেগুলো নিয়ে আমরা এখনও আলোচনা করিনি। আগে সেগুলো নিয়ে দলীয় ফোরামে বসে আলোচনা করার পরে এই বিষয়ে মন্তব্য করবো।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক (খালেদা জিয়ার) না রেখে যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে, তাতে আমরা হতাশ হয়েছি। এ বোর্ডের পরামর্শে বেগম জিয়ার সুচিকিৎসা হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলকে বোর্ডে রাখবেন, কিন্তু তাদের রাখা হয়নি।

নির্বাচন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা আগেই বলেছি, খালেদা জিয়াকে ছাড়া দেশে কখনও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। তাই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে তাকে মুক্তি দিতে হবে। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, মুক্ত খালেদা জিয়াকে নিয়ে তার নেতৃত্বে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *