১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিলের সুপারিশ করে কোটা পর্যালোচনা কমিটির দেয়া সুপারিশকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তবে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। একই সঙ্গে তিন দফা দাবির অন্য দু’টিও মেনে নেয়ার দাবি করে তারা। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, ‘তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।’ এসময় তিনি মঙ্গলবারের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। এর আগে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘সুপারিশ এটাতো মাত্র একটা সুপারিশ। যেখানে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছেন কোটা থাকবে না সেটারও বাস্তবায়ন হয়নি। সেখানে এটা যে সেরকম কিছু হবে না বা এটা কতটুকু কার্যকর করা হবে সেটাতো আমরা বুঝতে পারছি না এখনও। তারপরেও সরকার যেহেতু একটা কমিটি গঠন করেছে তারা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেটাকে আমরা অবশ্যই সতর্কতা হিসেবে এবং গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছি।’
তিনি বলেন, ‘কমিটি প্রথম দ্বিতীয় শ্রেণীর ক্ষেত্রে কোটা তুলে দেয়ার কথা বলেছে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাই।তবে প্রজ্ঞাপন না দেয়া পর্যন্ত আমাদের যে কর্মসূচি ধারাবাহিক ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সেগুলো চলবে। আর যদি সরকার প্রজ্ঞাপন দেয়ও তাহলে সেটা একটা দিক হলো যে সরকার আমাদের দাবি ধাওয়া আমাদের মতো না হলেও কিছুটা মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের যে আরো দু’টি দাবি ছিল যে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং কোটা আন্দোলন ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিক্ষার্র্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার করতে হবে আমাদের এ দু’টি দাবিও মেনে নিতে হবে।’ বর্তমানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো- মিথ্যা ও হয়রানিমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করা; আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা এবং পাঁচ দফার আলোকে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারি করা।