ফাইনালে উঠার লড়াই। চাপ তো থাকবেই কিন্তু সেই চাপও সামলে উঠতে হবে। এখানেই ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনাররা। গোটা এশিয়া কাপজুড়েই বাংলাদেশ দলের ওপেনিংয়ে দৈন্যদশা। আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেনি দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার।
লিটন প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলে আসছেন। প্রথম ম্যাচে তামিম ইকবাল চোটে পড়ায় গত তিন ম্যাচে লিটনের সঙ্গী ছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিন ম্যাচে ৭, ৭ আর ৬ রান নিয়ে দারুণ ব্যর্থ শান্ত। লিটনও যাচ্ছেতাই। একটা ম্যাচে ছিল ৪১ রানের ইনিংস।
এই দুইয়ের ব্যর্থতায় দেশ থেকে হঠাৎ উড়িয়ে নেয়া হয় ইমরুল কায়েস আর সৌম্য সরকারকে।
নিজের প্রথম ম্যাচে স্বাভাবিকভাবেই ওপেনিংয়ে খেলার কথা থাকলেও খেলানো হয়েছিল মিডল অর্ডারে। এখানে ইমরুল দারুণ সফল। খেলেছিলেন ৭২ রানের ইনিংস।
সুপার ফোর পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শান্ত আবারও খারাপ খেলায় বাদ পড়তে হয়েছে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে। তার পরিবর্তে দলে সুযোগ হয়েছে সৌম্য সরকারের।
লিটনের সঙ্গে সৌম্য ওপেনিং করেছেন ঠিকই কিন্তু ফিরে গেলেন শূন্য রানে। ঠিক যে কারণে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার, এক বছর পর দলে এসে আবারও তার পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি।
দলীয় পাঁচ রানের মাথায় ওপেনিং জুটি ভাঙলে তিন নম্বরে খেলতে আসেন সাকিবের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া মুমিনুল হক। ব্যক্তিগত ৫ রানের মাথায় শাহিন আফ্রিদির করা বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন এই বাঁহাতিও।
দলীয় রান যখন ১২ তখন লিটনও ৬ রানের মাথায় জুনাইদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন।
আবুধাবির শেখ জায়েদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তার সিদ্ধান্তের মূল্যটা হয়তো টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান দিতে পারেননি তবে মুশফিক-মিঠুন জুটি এগোচ্ছে ধীরে।
বাংলাদেশ:
লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।