নির্বাচনের ব্যাপারে কোনও পরামর্শ নয় বরং উৎসাহ পেয়েছি। আগামী নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। দেশের সুষ্ঠ পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও কেন আমাদের পদত্যাগ করতে হবে। জনগণ ভোট দিলে আবারও ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, অনেক দল। কোন দল নির্বাচনে আসবে এটা তাদের দলের ব্যাপার। নির্বাচনে না আসলে সরকারের কিছু করার নেই। তবে আশা করছি সবাই নির্বাচনে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সেখানে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার বিষয়ে কথা হয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বাসযোগ্য পরিবেশ সৃষ্টির কথা বলেছি। বাংলাদেশ যে প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছে তা তুলে ধরেছি। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে যে এগিয়ে গেছে সে বিষয়ে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমার দেশের মানুষের স্বার্থ নিয়ে কাজ করি। নিজের স্বার্থ নিয়ে কাজ করি না। মনের টানে কাজ করি। প্রতিটি মানুষের জীবনযাপন উন্নয়ন কাজ করছি। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দমন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সুপ্ত আকাঙ্খা পূরণ করতে যেয়েই বার বার দেশকে বিপদে ফেলা হয়। ষড়যন্ত্র আছে, থাকবে, সেটা নিয়ে পরোয়া করি না।
তিনি বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা নোংরামি করে বেড়ায়, তাদের ঠেকাতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন নোংরামি গোটা বিশ্বের জন্যই বড় ধরনের সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের সাংবাদিকরা এসব ঘটনা মোকাবিলায় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের তথ্যের সত্য-মিথ্যা প্রমাণিত করতে হবে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে যারা সংবাদ প্রকাশ করবে না তাদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ হওয়ার কোনও কারণ নেই। যারা মিথ্যা-তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করবে তাদের শাস্তি পেতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা জোট হচ্ছে আমি খুশি। আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশে দুটি দল একটি আওয়ামী লীগ আরেকটি বিরোধী আওয়ামী লীগ।