কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ভারতে পাচার করে দেওয়ার সময় এক নারী ও তার শিশু সন্তানকে আটক করেছে ভারতীয় বিএসএফ। এ ব্যাপারে দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে বিএসএফের নিকট আটক বাংলাদেশী নারী ও শিশুকে বিজিবিকে হস্তান্তরের চেষ্ঠা করবে বলে আশ^াস প্রদান করেছে বিএসএফ। ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার ঠোস বিদ্যাবাগীশ সীমান্ত এলাকার আন্তর্জাতিক পিলার ৯৩৮/১১ এস পিলারের নিকট দিয়ে।
সরেজমিন জানা যায়,ভোরে তারই ঠোস বিদ্যাবাগীশ সীমান্ত এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে মজিদুল ইসলাম (৩০) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের উত্তর কাগজীপাড়া গ্রামের কাচু মামুদের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম (২৯) তার স্ত্রী খুশি বেগমকে ভারতে লোভনীয় কাজ দেওয়ার কথা বলে। তাদের শিশু সন্তান রিপন (৬) সহ ভোরে কাঁটাতারের রেড়ায় মই লাগিয়ে ভারতে পাচার করে দেয়।
এ সময় ৩৮ বিএসএফ কুর্শাহাট বিওপি’র বিএসএফ সদস্যরা খুশি বেগম ও তার শিশু সন্তান রিপন বিএসএফের হাতে আটক হলেও রিয়াজুল কাটাতারের বাইরে থাকায় সে পালিয়ে যায়। রিয়াজুলের ভাগ্যে কি জুটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এ ব্যাপারে ১৫ বিজিবি গংগারহাট বিওপি তাৎক্ষনিকভাবে ৩৮ বিএসএফ কুর্শাহাট বিওপিকে আটকদের ফেরত চেয়ে তীব্র প্রতিবাদ লিপি পাঠালে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১.২০ মিনিট পর্যন্ত দু’দেশের বিওপি পর্যায়ে সীমান্তের ৯৩৮/৩ এস আন্তর্জাতিক পিলারের নিকট পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে বিএসএফ আটকের কথা অস্বীকার করলেও বিজিবি’র তীব্র প্রতিবাদের মুখে আটকদের হস্তান্তরের চেষ্টা করবে বলে আশ^াস প্রদান করে। পরে বিএসএফ আটক বাংলাদেশী শিশুসহ নারীকে ১০ ঘণ্টা পরে ছেড়ে দেয়।
এ সময় ৯ সদস্যের বাংলাদেশের পক্ষে পতাকা বৈঠকে নের্তৃত্ব দেন ১৫ লালমনিরহাট গংগারহাট বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান ও ৬ সদস্যের ভারতের পক্ষে ৩৮ বিএসএফ কুর্শাহাট কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর প্রেমানন্দ কুমার।