লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ৪নং ইছাপুর গ্রামে আসামী পক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে আজ শুক্রবার ভোর রাতে মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম সুমনের মৎস্য খামারে কীটনাশক প্রয়োগ করে ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন করেছে। এব্যাপারে মৎস্য চাষী সুমন বাদি হয়ে রামগঞ্জ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আলিখার বাড়ির মমতাজ উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম সুমন ১০ বছরের জন্য বাড়ির দীঘির অংশিদারদের কাছ থেকে লীজ নিয়ে তিন বছর যাবত মৎস্য চাষ করে আসছে। একই বাড়ির ছেরাজল হক-হাসেম গংরা পৈত্রিক সম্পত্তির বাগানের গাছ কর্তন ও সুপারী লুট করলে সাইফুল ইসলাম সুমন থানা এজাহার দায়ের করে। সৃষ্ট সমস্যা নিরসন করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা গোল ঘরে শালিসী বৈঠক বসে। বৈঠক থেকে বাড়ি ফিরার সময় আসামী পক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে বাদির প্রাননাশ সহ বিভিন্ন ক্ষতি সাধনের হুমকি দেয়। চাষী সাইফুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সকালে বড় সাইজের পোনা মাছ বিক্রি করতে জাল নিয়ে খামারে উপস্থিত হলে পানিতে মাছ ভাসতে দেখে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা মৎস্য অফিসার এবং থানা পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে পৌছার পুর্বেই বিভিন্ন প্রজাতির ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠে। ইছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সহিদ উল্যাহ বলেন,পানিতে কীটনাশক দেওয়াতে মাছ মরে ভেসে উঠেছে।উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা হাজ্বী মোঃ ইউসুফ মিয়া বলেন,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয় মাছ মারার ঔষধে পোনা মাছ মারা গেছে। পরীক্ষা করতে জলাশয়ের পানি ও মরা মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। রামগঞ্জ থানার এস.আই জহির উদ্দিন বলেন, ওসি সাহেবের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁেছ সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মৎস্য খামারে পরিকল্পিত ভাবে কেউ মাছ মারার ঔষধ পানিতে দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ফলে পানিতে থাকা সকল প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে।