মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রির সময় তিন বিক্রেতা, প্রশ্ন কিনতে আসা তিন শিক্ষার্থী ও চার অভিভাবকসহ ১০ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (উত্তর) বিভাগের একটি দল। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটক প্রশ্ন বিক্রেতারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান, বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এহসানুল হক ও কর কর্মকর্তা আবুল হাসান শান্ত। প্রশ্ন কিনতে এসে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- জাহিদুল ইসলাম রনি, রকিবুল হাসান হৃদয় ও মাহিমা আফরোজ। অভিভাবকদের মধ্যে আটক হয়েছেন- খলিলুর রহমান, মো. মাহবুবুর রহমান, নোয়খালীর আব্দুল মান্নান ও তার স্ত্রী হাসিনা আক্তার।
আটক ব্যক্তিদের থেকে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ভুয়া প্রশ্ন, বই, বেশ কিছু মোবাইল ফোন ও নগদ ১২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানান গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য (উত্তর) বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মশিউর রহমান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও বিক্রির দায়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিন প্রশ্ন বিক্রেতা জানায়, ফেসবুকে একটি গ্রুপ থেকে তারা প্রশ্ন ফাঁস করার পোস্ট দেন। তারা প্রশ্নের কপি না দিয়ে পরীক্ষার্থীদের উত্তর মুখস্ত করিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। পরে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেন। এ সময় তারা ১০-১২ লাখ টাকার বিনিময়ে এমবিবিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেবার কথা জানান।সেই অনুযায়ী গত রাতে মহাখালীতে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা প্রশ্নপত্র নিতে আসনে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, আশিকুর রহমান, এহসানুল হক ও আবুল হাসান শান্ত তিনজনেই প্রতারক। আসলে ভুয়া প্রশ্নফাঁসের কথা বলে তারা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। আমরা তাদের আটক করেছি। তিনি দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে গেছে।