যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোমবার স্বামী মহি উদ্দিনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার ১৬নং কাদিরপুর ইউনিয়নের পূর্ব ঘাটলা গ্রামের মুছা মিয়ার বাড়িতে।
সোমবার শাহীদা আক্তার মনার (১৯) বাবা মফিজ উল্যাহ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আওতায় আদালতে ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচারক হাসিনার আক্তার, বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসিকে অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক আদালতকে অবহিত করার নির্দেশ দেন।
সিনিয়র আইনজীবি আবদুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হতভাগ্য অন্তসত্ত্বা গৃহবধুকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে আসামিরা দফায় দফায় নির্যাতন করত। এক পর্যায়ে পাষন্ড ঘাতক স্বামী মহি উদ্দিন, শ্বশুর নুরুল আমিন, ননদ পাখি বেগম, স্বামীর ভাতিজা ইমন ও শ্বাশুড়ী সেতারা বেগম অন্তসত্ত্বা গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য চাপ দিলে, তা দিতে অস্বীকার করে অন্তসত্ত্বা শাহীদা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতাড়ী মারধর করলে গত ২রা অক্টোবর মঙ্গলবার রাত ৯টায় তিনি নিহত হন।রাত ১১টার দিকে শাহীদার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে অপ্রচার চালানো হয়। পরে নিহত গৃহবধূর ভাই ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে পুলিশের এস. আই ছাগির একটি অপমৃত্যুর অভিযোগ গ্রহণ করে লাশকে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
গৃহবধূকে পিতার বাড়ী হাজীপুরে দাফন করার আগে গোসল করানোর সময় জান্নাতুল ফেরদাউস ও ফুলমতী দেখতে পায় বাম হাতের কনুই, গিরা সম্পূর্ণ ভাঙ্গা ও বাম হাতের বৃদ্ধ আঙ্গুল ছাড়া বাকী ৪টি আঙ্গুল ভাঙ্গা। মুখের বাম পাশের জখম এবং বুকের দুই পাশে জখম।
তারা আদালতকে আরো জানায়, ভিকটিম এর বাম ঢাকে পেটের বাম পাশে মারাত্মক লাথির জখম ও বুকের মধ্যে মারাত্মক কাল দাগ সহ জখমের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত গৃহবধুর পিতা ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যা বলে জানান। থানা পুলিশ হত্যা ঘটনাটি আড়াল করার জন্য খুনের মামলা রেকর্ড না করে ইউ.ডি মামলা হিসেবে গ্রহন করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।