নির্বাচনে কী ভূমিকা রাখবে জাতীয় পার্টি ও হেফাজত?

দেবদুলাল মুন্না : ভোটের রাজনীতিতে এরশাদের জাতীয় পার্টির একটা শক্ত ভিত্তি আছে। এরশাদ ও রওশন এরশাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হলেও এমন পরিস্থিতি দলটির জন্য নতুন নয়। বিএনপির গত শাসনামলের শেষের দিকে এরশাদ ও বিদিশার মধ্যেও এমন বিভক্তি দেখা গিয়েছিলো।

গতকাল সোমবার দৈনিক যুগান্তরে আবদুল গাফফার চৌধুরী লিখেছেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টিকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে টানাটানি শুরু হয়েছে। অবশ্য বিএনপি টানছে অপ্রকাশ্যে। এরশাদ কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে, তবে তার দল তিনশ’ আসনেই প্রার্থী দিবে এবং কোন জোটে থাকবে না। এ ঘোষণার পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। ফলে এক ঘরে যেমন দুই পীর থাকতে পারে না, তেমনি ড. কামাল হোসেন ও এরশাদ একই জোটে অকল্পনীয়। যদি এরশাদের জাতীয় পার্টি এ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়, সেক্ষেত্রে বেশকিছু আসনে জিতলে বিস্ময়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যে কোন কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে তখন দুই জোটই সরকার গঠনে জাতীয় পার্টিকে ’কিংমেকার’ হিসেবে কাছে টানতে চাইবে বলে মনে করছেন অনেকে। এদিকে হেফাজত এতদিন বলেছে, তারা ইসলামী আন্দোলন। কোন রাজনৈতিক দল নয়। এখন তারা বলতে শুরু করেছে, ইসলামী সংগঠন হিসেবে তাদের রাজনৈতিক ভূমিকা আছে। আওয়ামী লীগের ধারণা, তারা হেফাজতের ভোট পাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হেফাজতীরা কি আওয়ামী লীগকে গোপনে সমর্থন করবে?’

রাজনীতিতে এখন ভোট আর জোটের হিসেবনিকেশ। নানামুখী সমীকরণে হেফাজত কী করবে, ধারণা করা কঠিন। তবে মানতেই হবে, এরশাদের জাতীয় পার্টি একটা অবস্থানে গিয়ে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা বেশ জোরালো। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *