ব্যয় হবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ বর্তমান সরকারের পদক্ষেপে সারা বাংলাদেশে ৮ হাজার ৭’শ ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মান শিগগির শুরু হচ্ছে।এরমধ্যে ব্রিটিশবিরোধি আন্দোলনে পলাশবাড়ীর ঐতিহাসিক অফিসের হাটে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে বহুমুখি একটি মডেল মসজিদ।
২০১৪ সালের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি ছিল।
২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রনালয় পরিদর্শন কালে নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখিত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি আরো অগ্রগামী করেন। মডেল মসজিদ গুলোর ডিজাইন ও নির্মান স্থাপত্য শৈলীসহ অন্যান্য অবকাঠামো হবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। শুধু নামাজ আদায়ই সিমাবদ্ধ থাকবেনা। ইসলাম ধর্মীয় অনুশাসনের বিভিন্নস্তর বিশেষে প্রতিটি মডেল মসজিদকে ঘিরে একইসাথে সংযোজন থাকবে নানাকিছু।
থাকবে লাইব্রেরি, গবেষণা কক্ষ, ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শিশু শিক্ষা কার্যক্রম, পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক নামাজ ঘর, দেশী-বিদেশী সম্মানিত অতিথি ও মেহমানদের জন্য থাকবে প্রয়োজনীয় আবাসন ব্যবস্থা,বিদেশী পর্যটকদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা ও হজ্ব যাত্রীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছাড়াও ইত্যাদি সুবিধাসহ নির্মিত হবে মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স।
প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের গত ৫ এপ্রিল উক্ত প্রকল্পের আওতায় প্রথমত: ৯ টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।পর্যায়ক্রমে সমুদয় মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স গুলোর নির্মানকাজ বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে। পলাশবাড়ী উপজেলায় এমনি একটি মডেল মসজিদ নির্মানে নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রায় চুড়ান্ত। মডেল মসজিদটি নির্মানে ব্যয় হবে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। মসজিদটি নির্মান হবে উপজেলা সদরে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ঘেঁষে ঐতিহাসিক ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে প্রথম স্বাধীন পলাশবাড়ীর অফিসের হাট নামক স্থানে।
ওই স্থানটির মোট জমির পরিমাণ ২ একর ৪৬ শতাংশ।এর মধ্য মাত্র ৪০ শতাংশ জমির উপর বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে ওই মডেলর মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মিত হবে। মসজিদ গুলো বাস্তবায়নে সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন।