পাকা ব্রিজ থেকে নামতে হয় বাঁশের সাঁকো দিয়ে

সড়ক আছে। সরকারিভাবে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্রিজও নির্মাণ করা হয়েছে। তারপরও প্রায় ১০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা এখন বাঁশের সাঁকো। প্রতিদিনই ব্রিজ থেকে বাঁশের সাঁকো দিয়ে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সী মানুষকে নামতে হচ্ছে।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার কেদার হালটে নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের এক পাশ ভেঙে যাওয়ায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচল বন্ধ আছে।এ পরিস্থিতিতে সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের কমপক্ষে দশ হাজার মানুষ দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের সাঙ্গুরা-রতনদিয়া সড়কের কেদার হালটের ওপর ব্রিজটি নির্মাণ করা হয় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু, কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় উপজেলার সাগুরা-রতনদিয়া রাস্তার কেদার হালটে ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৬৭৯ টাকা ব্যয়ে ২২ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়া গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষের মাঠ থেকে ফসল আনতে হলে এই ব্রিজটিই একমাত্র ভরসা। এছাড়া সাঙ্গুড়া থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলা ও কোলারহাটে যাতায়াতের সহজ পথ হিসেবে এই ব্রিজটি একমাত্র মাধ্যম। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু-কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।ব্রিজ নির্মাণের পরই কিছুটা দেবে যায়। তখন মাটি ও বালু দিয়ে তা উঁচু করা হয়। ওই বছরই বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্র পানির স্রোতের কারণে ব্রিজের এক অংশ থেকে মাটি ভেঙে আবার খালের সৃষ্টি হয়।এতে ব্রিজটি দিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলসহ মাঠ থেকে ফসল আনতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। চলাচলের জন্য বিকল্প হিসেবে স্থানীয়ভাবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। ব্রিজটির এ অবস্থার কারণে সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আকাশ আহম্মেদ, গিয়াস মিয়া, নিজাম তালুকদার, মতিয়ার মোল্লা জানান, ব্রিজটি নির্মাণ করার পর খুব বেশিদিন আমরা ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করতে পারি নাই। ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় বছর পেরিয়ে গেলেও ব্রিজটি দিয়ে চলাচল উপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।ব্রিজটি দিয়ে সাঙ্গুরা থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার কোলারহাট যাতায়াতের সহজ পথ হওয়ার কারণে আমাদের জন্য ব্রিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়াও সাঙ্গুরা, সিন্নাতপুর, সন্ধ্যা, রতনদিয়া গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ এখন আমাদের নিত্যদিনের হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিজটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ওই এলাকাবাসী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা জানান, ব্রিজের বর্তমান অবস্থা আমার জানা নেই। বছর খানেক আগে হেড অফিস থেকে লোক এসে তদন্ত করে গেছে। তারা এখন পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা আমাকে দেয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *